জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাববি মসজিদের শিলান্যাস করবই। সেই স্ট্যান্ড আমরা এখনও আছে। ৬ তারিখ আসতে দিন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়ার পর জোর গলায় এমনটাই বললেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায় হুমায়ূন কবীর।
মসজিদ নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে হুমায়ূন বলেন, আমার ট্রাস্ট মসজিদ করবে। আমি সেই ট্রাস্টের প্রধান। যারা বলছে, কেন মসজিদের নাম বাবরি তাদের বলব তাদের সাজেশনের প্রয়োজন আমার নেই। তারা তাদের মতো থাকুক। বাববি মসজিদের তাত্পর্য অনেক। দিলের আলোয় এতবড় একটা সৌধ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। তাতে দেশের সিংহভাগ মুসলিমের মনে আঘাত লেগেছে। দলের সম্মতির কোনও প্রয়োজন নেই। নেত্রী চাইলে কালই রিজাইন করে দেব। কারও হাতের তামাক খেয়ে চলি না। ৬ তারিখে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করব। ২৫ বিঘে জায়গা জোগাড় করেছি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে হুমায়ূনের সাসপেনশনের কথা ঘোষণা করে ফিরহাদ বলেন, বাংলায় কি এসব চলবে? বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাঙ্গা লাগলে আঘাত কি হিন্দু মুসলমান দেখে লাগবে? সুতরাং এটা বাংলায় মানা যায় না। এটা ঠাকুর রামকৃষ্ণের বাংলা। এখানে সবাই মিলে একসঙ্গে থাকব। যে কেউ ধর্মস্থান তৈরি করতে পারে কিন্তু তার মধ্যে ধর্মীয় উস্কানি থাকবে না। চেতালায় আমিও একটি মসজিদের মতোয়াল্লি। ধর্ম নিয়ে যখন রাজনীতি হয় তখন তার বিরুদ্ধে আমরা। আজ বাবরি, কাল রাম মন্দির-এটাই কি এবার চলবে?
দল থেকে সাসপেন্ড হয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, কারও ডাইরেকশন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি বলেছি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করব তো করবই। কারও ক্ষমতা থাকলে রুখে দিক। জীবনের বিনিময়ে হলেও বাবরি মসজিদের যে ঘোষণা করেছি তা তৈরি হবে। আগামী ৬ তারিখে মসজিদের শিলান্যাস হবে। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বাবরি মসজিদ, হাসপাতাল, মুসাফিরখানা, হেলিপ্য়াড, পার্ক তৈরি হয়ে যাবে। বাংলার ইমানদার মুসলমানদের করে দেখাব। মুসলমানদের টাকায় আমি মসজিদ তৈরি করব।
ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণা নিয়ে হুমায়ূন বলেন, কারও কোনও কথায় আমি কান দিই না। যে ববি হাকিম এখন কথা বলছেন তিনি কেন বলেছিলেন মুসলিম হয়ে যারা জন্মায়নি তারা অভাগা। সেটা কি ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা ছিল? ববি হাকিমের কোনও কথা জবাব দেব না। বিধায়ক পদ থেকে রিজাইন করে দেব। নতুন দল রেডি আছে। এদের চক্রান্ত অনেক দিন থেকেই বুঝতে পারছি। আমাদের পদে পদে অসম্মান করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছেন দিনের পর দিন। মিথ্যে কথা বলেছেন। আমাকে দিয়ে তাঁর স্বার্থ পূরণ করে নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদে অনেকের থেকে আমার যোগ্যতা বেশি।