• গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে যোগী মডেল! উত্তরপ্রদেশে কৃষি নীতিতে নয়া দিশা
    প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশ সরকার কৃষকদের জন্য আনল নয়া নীতি। কৃষকের আয় বাড়াতে কাজ করবে এই নীতি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই নয়া পন্থা। গত সাড়ে আট বছরে কৃষকের পাশে থেকেছে যোগী সরকার। উন্নতির চাকা তরতরিয়ে এগিয়েছে। চাষের বীজ রোপণ থেকে বাজারে ফলন চালান পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার। কৃষকরা সেই সুবিধা এখন ভোগ করছেন। রাজ্যে কৃষকদের জন্য তৈরি হয়েছে আধুনিক মডেল।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উন্নত প্রযুক্তিতে জোর দিচ্ছেন। সরকারি প্রচেষ্টায় এসেছে বড় সাফল্য। রাজ্যের কৃষি বৃদ্ধির হার বেড়েছে। ২০১৬-১৭ সালের ৮.৬% কৃষি হার ২০২৪-২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১৭.৭%। দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এখন ফল ও সবজি উৎপাদনে প্রথম। রাজ্যে বছরে ৪০ মিলিয়ন টন ফল ও সবজি উৎপাদন হয়।

    সরকার শুধু শস্য উৎপাদনে থেমে নেই। কৃষকদের আয় বৃদ্ধির নতুন পথও তৈরি করে দিচ্ছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সয়েল হেলথ কার্ড সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কৃষি সম্পর্কে নানা পরামর্শ ও সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

    সরকার নিয়মিত MSP সংশোধন করছে। সাধারণ ধানের MSP কুইন্টাল প্রতি ২,৩৬৯ টাকা ধার্য হয়েছে। গ্রেড-এ ধানের দাম ২,৩৮৯ টাকা। গত বছরের তুলনায় ৬৯ টাকা বেড়েছে। আগাম আখের দাম কুইন্টাল প্রতি ৪০০ করা হয়েছে। সাধারণ মানের আখের দাম ৩৯০ টাকা ধার্য হয়েছে। এতে কৃষকের আয় অনেক বেড়েছে।

    UP AGREES প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। এটি উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ করতে উৎসাহ দেবে। গ্রামীণ এলাকায় কৃষিভিত্তিক কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এমনকী যোগীর ‘কৃষি সমৃদ্ধি যোজনা’য় কৃষকরা কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন। কিসান ক্রেডিট কার্ডের (KCC) পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এই বছর ২৫ লক্ষ নতুন KCC দেওয়া হচ্ছে।

    সরকার প্রতিদিন বিনামূল্যে বাজারের দাম আপডেট রাখছে। আবহাওয়ার তথ্যও নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১.৪৫ কোটির বেশি কৃষক কার্ড আইডি ইস্যু হয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি চারা উৎপাদন করছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার মহিলার কর্মসংস্থান হয়েছে।

    লখনউতে একটি সিড পার্ক তৈরি হচ্ছে। এর খরচ ২৫১ কোটি টাকা। ভারতরত্ন চৌধুরী চরণ সিং-এর নামে এটি তৈরি হচ্ছে।

    রাজ্যে ৪,০০০টিরও বেশি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে। এটি যোগী সরকারের এক বড় অর্জন। এই কেন্দ্রগুলির ৩৫-৪০% এমন ব্লকে তৈরি হয়েছে, যেখানে আগে স্থায়ী সুবিধা ছিল না। এখন গ্রাম থেকে কেন্দ্রে জিনিস আনা সহজ। কৃষকদের পরিবহন খরচ কমেছে। বাজার মূল্যের ওঠানামা থেকে তারা অনেকাংশে রক্ষা পাচ্ছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)