• বঞ্চিত বাংলা! সংসদে অভিষেকের প্রশ্নে প্রকাশ্যে এল কেন্দ্রের ‘বৈমাতৃসুলভ’ পদক্ষেপ
    প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিন চারেক হল সংসদে শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন। এর মধ্যেই প্রশ্নে প্রশ্নে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারকে কার্যত জর্জরিত করে ফেলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। মূলত বঞ্চনা এবং জনস্বার্থ সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে এই ক’দিনেই একাধিক প্রশ্ন তুলে জবাব চেয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত প্রশ্ন করেন বিভিন্ন খাতে পুনর্গঠনে কেন্দ্র বরাদ্দ অর্থের কতটা দিয়েছে। জবাবে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করেন। আর তাতে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ‘বৈমাতৃসুলভ’ আচরণ ফের প্রকাশ্যে চলে এল। দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিই বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগটা পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্তি সেখানে নামমাত্র।

    বিদ্যুৎ সরবরাহ, পরিকাঠামো-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষতির পর পুনর্গঠনে নানা প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের। বিভিন্ন রাজ্যের জন্য গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এবারের শীতকালীন অধিবেশনে লিখিতভাবে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, পুনর্গঠন খাতে কোন রাজ্যকে কত অর্থ দিয়েছে কেন্দ্র। কেনই বা বাংলার বরাদ্দ অর্থ আটকে রাখা হয়েছে? এর জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাতে মন্ত্রীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকেও সেই বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া অনুযায়ী, গত তিন অর্থবর্ষে ৬৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পুনর্গঠন খাতে। তার মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২২১ কোটি ও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৬০১ কোটি এবং শেষবছর মাত্র ৪৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা বরাদ্দের তুলনায় নামমাত্র বইকী! অথচ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান, বিহারের মতো রাজ্য বেশিরভাগ অর্থই পেয়ে গিয়েছে। এছাড়া অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মধ্যে অর্থপ্রাপ্তিতে এগিয়ে তামিলনাড়ু। এতেই স্পষ্ট, বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ কতটা বাস্তব।
  • Link to this news (প্রতিদিন)