সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়ে তাঁকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। আর তার কয়েকঘণ্টা পরই বহরমপুরের সভা থেকে বিধায়ককে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সরাসরি হুমায়ুনের নাম না করেও মমতার তোপ, “একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। নাহলে বাকিগুলো পচে যায়।”
দলবিরোধী মন্তব্য করে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তৃণমূলের তরফে তাঁকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি সংক্রান্ত মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়। তার জেরেই কড়া পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে দল। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, “দল হুমায়ুনের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখবে না।” ঘটনাচক্রে দল এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বহরমপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলেই ছিলেন হুমায়ুন। বিষয়টা জানামাত্রই সভাস্থল ছাড়েন তিনি।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর বহরমপুরে সভা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে নাম না করে হুমায়ুনকে ‘গদ্দার’ বলে তোপ দাগেন তিনি। মঞ্চ থেকে তাঁকে রীতিমতো তুলোধোনা করলেন মমতা। বললেন, “একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। নাহলে বাকিগুলো পচে যায়। কিছু পোকামাকড় থাকবেই। তাদের সরিয়ে দিলে দেশ, রাজ্য চলবে, সব চলবে।” তিনি আরও বললেন, “কেউ কেউ টাকা খেয়ে ইলেকশনের আগে বিজেপির তাঁবেদারি করে। ওরা দেশের শত্রু। ওরা নির্বাচনের ২ মাস আগে থেকে এই সব রাজনীতি করে।” পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, এসব করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ করা যাবে না। মুর্শিদাবাদ অশান্তি চায় না। নিজের মন্তব্যে মমতা বুঝিয়ে দিলেন, হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের কোনও প্রভাব পড়বে না আসন্ন নির্বাচনে।