• ‘এসআইআর করতে না দিলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করত’! শাহের বিরুদ্ধে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
    প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা এসআইআর (SIR in Bengal) হতে দেবেন না বলে শুরুতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও শেষমেশ শুরু হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপও শেষের পথে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানালেন, এসআইআর করতে না দিলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হত। বিজেপির এমনই পরিকল্পনা ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই ‘চালাকি’ তিনি ধরেও ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বৃহস্পতিবার বহরমপুরে মমতার সভা ছিল। সেখানে এসআইআর রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এসআইআর নিয়ে ভয় পাবেন না। শুধু নিজেদের নথিগুলো জমা দিন। যদি এসআইআর না করতে দিতাম, তা হলে ভোট না করে ওরা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করত।” এর পরেই শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, “বুঝেছেন অমিত শাহের চালাকি? আমরা অত বোকা নই বাবুমশাই, গোদিভাই! আমরা করব, লড়ব। আমরা জিতে দেখাব। আমাদের ভাতে মারা যাবে না। সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না।”

    এসআইআর প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘নীতি’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, কেন বিজেপিশাসিত রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে না? মমতা বলেন, “যে সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই, সেখানেই কেন ভোটের আগে এসআইআর হবে? অসম, ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সীমান্ত নেই? সেখানে কেন এসআইআর হবে না? বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলে?” এসআইআর নিয়ে ধর্মের রাজনীতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর সম্প্রীতি দিবস পালিত হয়। সব ধর্মের মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করেন। সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবেন, এটাই তো নিয়ম। বাংলা সব ধর্মকে সম্মান করে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মানবে না।’’ এর পর বিজেপির উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘যাঁরা এসআইআর আবহে মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে তো অর্ধেকের বেশি হিন্দুও রয়েছেন। যে গাছের ডালে বসেছেন, সেই ডাল কাটবেন না!”

    মুখ্যমন্ত্রী আগেই অভিযোগ করেছিলেন, এসআইআর (SIR in Bengal) করে আসলে এনআরসি-র পথ সুগম করা হচ্ছে। কিন্তু সেই এনআরসি তিনি এ রাজ্যে হতে দেবেন না বলে এ বার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা। বললেন, গলা কেটে দিলেও বাংলায় এনআরসি হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ভাগ্যিস আমি বীরভূমে জন্মেছিলাম! নয়তো আমাকেও বাংলাদেশি বলত। শুনে রাখুন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। আমার গলা কেটে দিলেও এখানে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না, কাউকে তাড়াব না। রোহিঙ্গা বাংলায় কোথা থেকে আসবে? রোহিঙ্গা তো আসবে মণিপুর, মিজ়োরাম, ত্রিপুরা দিয়ে। সীমান্ত, আইটিবিপি, বিএসএফ, পাসপোর্ট, ভিসা— সবই তো কেন্দ্রের হাতে। এখন দোষ দিলে হবে?”
  • Link to this news (প্রতিদিন)