উচ্চ প্রাথমিকে অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিল, ‘কোনও নিয়োগ নয়’, সাফ নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
গোবিন্দ রায়: উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২২ সালে তৈরি করা অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চের। এক্ষেত্রে আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা যায় না। ফলে ওই পদে কোনও নিয়োগ নয় বলেও এদিন নির্দেশে জানিয়েছে হাই কোর্ট। বুধবারেই নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরেই এদিনের এই নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary Recruitment) শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষায় নিয়োগ করতে চেয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে রাজ্য। ১৬০০ শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে কর্মশিক্ষায় ৭৫০ টি এবং শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। আর তা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের হয়। নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
আজ বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসুর স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত শূন্যপদ। তাই বৈধ নয় এই শূন্যপদগুলি। এমনকী মৃত প্যানেলকে ইঞ্জিকেশন দিতে বাঁচাবার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও এদিন পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি। সবদিক খতিয়ে দেখে রাজ্যের তৈরি উচ্চ প্রাথমিকে অতিরিক্ত শূন্যপদ বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ওই পদে কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলেও নির্দেশ আদালতের।
বলে রাখা প্রয়োজন, বুধবারেই নিয়োগ মামলায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট জানায়, “দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করলে পরিবারগুলির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।” এরপরেই এদিনের এই নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।