জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে চালু হেল্পডেস্ক, বিশেষ উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার
প্রতিদিন | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নির্ভুল ও দ্রুত পেতে কলকাতা পুরসভা হেল্পডেস্ক চালু করল। একই সঙ্গে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিল যাঁদের জন্মের সাল-তারিখের কোনও নথি-তথ্য নেই তাঁরা বার্থ অ্যান্ড ডেথ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের বিশেষ অধিনিয়ম মেনে ‘নন আইডেন্টিটি বার্থ সার্টিফিকেট’ পাবেন। পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনের সিংহদুয়ারে পৃথক হেল্প ডেস্ক তৈরি হয়েছে। আটটি কাউন্টার। একটি পৃথক টেবিল থাকবে শুধুমাত্র বিভিন্ন অভিযোগ নেওয়ার জন্য। তার আগে গত সাতদিন ধরে পুরসভার ৬ নম্বর গেটে আটটি কাউন্টার চালু করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কথায়, “কলকাতা পুর এলাকায় যাঁদের জন্ম বা মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রামাণ্য নথি মিলিয়ে দেখে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।” তথ্য বলছে, পুরসভার রেকর্ড রুমে ১২০ বছরের পুরনো নথি আছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনেই সেই নথি মিলিয়ে দেখা হয়। যাঁরা নথি দেখাতে পারছেন মিলিয়ে দেখে পুরসভার জলছবি দেওয়া নতুন ডুপ্লিকেট বার্থ বা ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। তবে একবছরের পুরনো হলেই পুরসভাকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে প্রতিটি কপির জন্য।”
পুর স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার কথায়, কলকাতায় জন্ম হলেও যাঁদের প্রামাণ্য নথি নেই। সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র বা আধার কার্ড থাকলে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে সবাই যে এসআইআরকে কেন্দ্র করেই জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহের জন্য পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে আসছেন এমনটা নয়। বিদেশে চাকরি বা উচ্চতর শিক্ষার জন্যও ডুপ্লিকেট বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে আসছেন। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেছেন, “মানুষ এক। তাঁর নামও-ঠিকানাও এক। কিন্তু কম্পিউটারে ক্লিক করতেই ধরা পড়ছে জন্মের তারিখের ২-৩ বছরের পার্থক্য। এমন নজির ভূরি ভূরি। এমন গরমিল থাকলে পুরসভা বার্থ সার্টিফিকেট দিতে পারবে না। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কথায়, রোজ প্রায় ১০০টি বার্থও ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এখন আরও ৪০০ সার্টিফিকেট ইস্যু করার পরিকাঠামো তৈরি হল।