ভারতের উড়ান পরিষেবার ইতিহাসে অন্যতম বড় বিপর্যয়ের মুখে দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স, ‘ইন্ডিগো’ (IndiGo)। গত তিন দিন ধরে চলছে অচলাবস্থা। বৃহস্পতিবারও মোট ৫৫০টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে সংস্থাটি। তাদের ২০ বছরের ইতিহাসে এটি একটি লজ্জার নতুন রেকর্ড। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা-সহ দেশের প্রধান প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে আটকে পড়া যাত্রীদের ক্ষোভ এখন চরমে।
সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রে খবর, শুধুমাত্র দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ১৭২টি ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মুম্বইয়ে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫টি, কলকাতায় ৩৫টি এবং চেন্নাইয়ে ২৬টি ইন্ডিগোর ফ্লাইট ওড়েনি।
একসময়ে ‘সময়ানুবর্তিতা’-র জন্য পরিচিত ইন্ডিগোর ‘অন-টাইম পারফরম্যান্স’ (কতটা সময় মেনে চলাচল করছে উড়ান সংস্থাটি) বুধবার ১৯.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। যা মঙ্গলবারও ছিল ৩৫ শতাংশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নেমেছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, DGCA। সরকারের তরফে ইন্ডিগোর কার্যকলাপে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। DGCA কড়া নির্দেশ দিয়েছে, ক্রু নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং রোস্টার ঢেলে সাজানোর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ জমা দিতে হবে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল কার্যক্রমে ফিরে আসবে। তবে তার আগে যাত্রীদের ভোগান্তি কমার কোনও আশু সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা।