আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যে এবার চালু হতে চলেছে ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স। গাছের নানাবিধ সমস্যায় এই অ্যাম্বুল্যান্স সরাসরি পৌঁছে যাবে গাছের গোড়ায়। প্রয়োজনমতো গাছে ওষুধ থেকে সার বা ডাল ছাঁটাই করে ফের তাকে করে তুলবে চনমনে। কলকাতায় রাসবিহারী বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক দেবাশিস কুমার-এর উদ্যোগে গাছেদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। বিধায়ক তহবিল থেকেই এই উদ্যোগ চালু করছেন তিনি। দেবাশিস কুমার জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উৎসাহেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চ থেকে এই পরিষেবার সূচনা হচ্ছে।
কখনও হেলে পড়া আবার কখনও জলের অভাবে শুকিয়ে যাওয়া। আবার কখনও রোগ ধরে ধীরে ধীরে গাছের মরে যাওয়া। অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে, ঢাকঢোল পিটিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হলেও পরে সেই গাছ বাঁচল কি মরল সেই দিকটি আর খেয়াল রাখা হয় না। এমনকী বড় হওয়ার পর গোড়ার মাটি দুর্বল হয়ে পড়ায় গাছ বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েও অনেকসময় সমস্যা তৈরি করে। সমস্ত সমস্যার সমাধানেই কাজে আসবে এই ট্রি অ্যাম্বুল্যান্স।
অ্যাম্বুল্যান্সের কাজ বা তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলতে গিয়ে দেবাশিস কুমার জানান, "যতটুকু জানি দেশে মাত্র দুটি জায়গায় এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স আছে। চালু হওয়ার পর এটাই হবে পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে একটি অ্যাম্বুল্যান্স চালু হলেও যদি ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ সফল হয় তবে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে।"
ঠিক কী কী জিনিস এই অ্যাম্বুল্যান্সে থাকবে? বিধায়ক বলেন, "গাড়ির মধ্যে জল ছাড়াও থাকছে সার, পাতা ছাঁটার মেসিন-সহ গাছের প্রয়োজনে অন্যান্য আরও জিনিস। অনেকসময় দেখা যায় গাছের একটা বা বেশ কিছু ডালের জন্য গাছ কিছুটা হেলে পড়েছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাল কেটে যাতে গাছটি ফের সোজা করে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা থাকবে। আবার যদি দেখা যায় আট বা দশ ফুটের মতো উচ্চতার কোনো গাছ কিছু কারণে এমনিই হেলে গিয়েছে তাহলে সেই গাছও সোজা করে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা এই অ্যাম্বুল্যান্সে থাকবে।"
প্রয়োজনে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে বিশারদ কাউকে ডেকে আনারও ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই মুহূর্তে রাসবিহারী বিধানসভায় এই বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স চালু হলেও প্রয়োজনে কলকাতার যে কোনও জায়গায় পৌঁছে যাবে এই যান।