অয়ন শর্মা: খেলতে গিয়ে বিপত্তি। ৩ ইঞ্চির একটি আলপিন গিয়ে ফেলেছিল বছর সাতেকের শিশু। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তার প্রাঁণ বাঁচালেন ইএনটি বিভাগের চিকিত্সকরা। সময় লাগল ১৫ মিনিট। চিকিত্সকরা জানিয়েছে, দেরি হলে প্রাণসংশয় হতে পারত।
জানা গিয়েছে, শিশুটির নাম আফিয়া খুরশিদ। বাড়ি, হাওড়ার শিবপুরে। আজ, দুপুরে বাড়িতে খেলা করছিল আফিয়া। তখনই কোনওভাবে একটি আলপিন গিলে ফেলে সে। সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সঙ্গে বুকে ব্য়াথ্যা আর কাশি। পরিবারের লোকেরা আর দেরি করেনি। তড়িঘড়িতে শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা চলে আসেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এক্স-রে করে চিকিত্সকরা দেখেন, শিশুটির শ্বাসনালীতে আটকে রয়েছে আলপিন। দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন ইএনটি বিভাগের চিকিত্সকরা। বিকেল সাড়ে পাঁচ নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। ইএনটি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পিনটি খাদ্যনালীর মধ্যে না গিয়ে শ্বাসনালীর ভিতর ঢুকে যায়। পরিবারের লোকেরা সময় নষ্ট না করে নিয়ে আসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এমার্জেন্সি থেকে বাচ্চাটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইএনটি বিভাগে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি'।
অস্ত্রোপচারের সময় কিন্তু শিশুটিকে অজ্ঞান করা হয়নি। ডাঃ দীপ্তাংশু জানিয়েছেন, "ফরসেপ দিয়ে ধরে পিনটি শ্বাসনালীর ভিতর থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। এক্ষেত্রে যেটা হতে পারত সেটা হল কোনোভাবে যদি পিনটি ফুসফুসের ভিতর ঢুকে পড়ত তবে বাচ্চাটির প্রাণ সংশয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। গোটা এই অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছে ১৫ মিনিটের কাছাকাছি। আপাতত রোগী ভালো আছে এবং তাকে সাধারণ শয্যায় দেওয়া হয়েছে'।