• পুতিনের সুরক্ষাবলয় কেমন? বিদেশ সফরে রুশ প্রেসিডেন্টের সুরক্ষায় কারা? কী হয় মলমূত্রের?
    প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার তিনি আসছেন ভারতে। তাঁর সফরের সঙ্গে সঙ্গেই চর্চায় উঠে আসছে পুতিনের সুরক্ষাব্যবস্থা। বিদেশ সফরে গেলে কেমন নিরাপত্তা দেওয়া হয় রুশ প্রেসিডেন্টকে? যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও পুতিনের নিজস্ব সুরক্ষাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন হয় পুতিনের নিরাপত্তার ‘রাজসূয় যজ্ঞ’।

    নিরাপত্তার ‘জাল’: কেজিবির (অধুনা লুপ্ত সোভিয়েতের গোয়েন্দা বাহিনী) কৌশলেই পরিচালিত হয় পুতিনের সুরক্ষা। রুশ প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হতে পারে না। ১৮০ সেন্টিমিটারের বেশি উচ্চতা হয় রক্ষীদের। ফিট, যুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, মানসিকভাবেও শক্ত হন তাঁরা। মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি মেলে না। এই দেহরক্ষী ছাড়াও স্নাইপার, ড্রোন অপারেটরের মতো একাধিক ব্যক্তি থাকেন নিরাপত্তার দায়িত্ব।

    খাবার এবং স্বাস্থ্য: পুতিনের খাবারের দায়িত্বে থাকা রাঁধুনিদের গ্লাভস বাধ্যতামূলক। দিনে বেশ কয়েকবার পোশাক বদলাতে হয়। রান্নার প্রত্যেকটি উপকরণ পরীক্ষা করা হয়। পুতিনের খাবার আগে খেয়ে পরীক্ষা করে নেন তাঁর দেহরক্ষীরা। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার একেবারে খান না পুতিন। রাতের বেলা মাংসের পরিমাণ খুবই কম থাকে তাঁর কপালে। মূলত বেগুন, স্যালাড খেতে পছন্দ করেন পুতিন। জিঞ্জার টি পান করেন। খুবই কম মদ্যপান করেন।

    বাহন: গ্রেনেড হামলা আটকানোর প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বুলেটপ্রুফ লিমুজিনে যাতায়াত করেন পুতিন। সেখানে অক্সিজেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকে। পুতিনের IL-96-300PU বিমানে উন্নত যোগাযোগ, জিম, মেডিক্যাল সেন্টার, কনফারেন্স রুম থাকে।

    পুপ সুটকেস: এই অদ্ভুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুতিনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য গোপন করার জন্য। বিদেশ সফরে পুতিনের দেহরক্ষীরা তাঁর মল সংগ্রহ করেন এবং তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুতিন এই অভ্যাস চালু রেখেছেন। চিকিৎসকদের অনুমান, পুতিন পারকিনসনসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও তথ্য যাতে ফাঁস না হয় সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)