রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমুদ্রসৈকতে হাঙর-রহস্য! মাছ ধরার জালে মাছ নয়, ধরা পড়ল বিশালাকার এক মৃত হাঙর। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তালসারির সমুদ্রতটে। হাঙরের কথা ছড়িয়ে পড়তেই ওড়িশার সৈকতে ভিড় জমান কৌতূহলীরা। ছবি, ভিডিও তোলার হিড়িক ওঠে। আর সেসব নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। সোশাল মিডিয়ার পাতায় ওই বিশালদেহী মৃত হাঙরকে দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের! তবে জলের ওই ‘দৈত্য’কে উদ্ধার করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয় মৎস্যজীবীদের।
ওড়িশার বালেশ্বর জেলার ভোগরাই ব্লকের তালসারি সমুদ্রতট। পর্যটনস্থল হিসেবে অতি পরিচিত তালসারি। সেখানেই বুধবার গভীর রাতে উঠে এল বিশাল হাঙর। সকাল হতে তাকে স্বচক্ষে দেখে একেবারে আঁতকে উঠলেন মৎস্যজীবীরা। হাঙরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট, ওজন ৫০ কুইন্ট্যালের বেশি। মৎস্যজীবীরা জানান, হাঙরটি তাঁদের জালে আটকে পড়েছিল। পাঁচ মৎস্যজীবী বাষ্পচালিত নৌকায় চড়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এই দৈত্যাকার হাঙর জালে ওঠে। বলা হচ্ছে, ‘জলদৈত্য’র এত ওজনের কারণে সেটিকে উপকূল পর্যন্ত সম্পূর্ণ টেনে আনা সম্ভব হয়নি। এমনকি শতাধিক স্থানীয় মানুষও চেষ্টা করেও তিরে তুলতে পারেননি।
এরপর জোয়ার এলে সেই জলের তোড়ে ৫০ কুইন্ট্যাল হাঙরটিকে টেনে তোলা সম্ভব হয়। তাকে দেখে সকলে হতবাক। ঘটনাস্থলে ভিড় করেন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মোবাইলে ছবি-ভিডিও তোলার হিড়িক পড়ে যায়। বনদপ্তরের আধিকারিকরা পৌঁছে হাঙরের প্রাথমিক পরীক্ষা ও জাত নির্ধারণের কাজ শুরু করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে এটি বিরল প্রজাতির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে তা তালসারির সৈকতে ভেসে এল, কোথা থেকেই বা এল, এসবের খোঁজ চলছে। তবে এত বৃহদাকার হাঙর দেখে তাজ্জব সকলে।