• জুনে ফিরতেন বাড়ি, ঘর বানাচ্ছিলেন বাবা! যোগীরাজ্যে ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বেলঘরিয়া
    প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বিধান নস্কর, বিধাননগর: পড়াশোনা প্রায়ই শেষ। কয়েকমাস পরই বাড়ি ফেরার কথা! বইপত্র ও বিভিন্ন জিনিসপত্র পাঠাতে শুরু করেছিলেন। ছেলে এসে থাকবে, নতুন ঘর তৈরি করছিলেন বাবা। প্রতিদিন সকাল তুমুল ব্যস্ততায় শুরু হত চক্রবর্তী পরিবারের। আজ, সেই বাড়িতেই কালো মেঘের ছায়া। ছেলের মৃত্যু সংবাদে পাথর হয়ে গিয়েছেন বাবা। শোকবিহ্বল গোটা পাড়া। 

    বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসক পড়ুয়া অর্ণব চক্রবর্তীর। তিনি বেলঘরিয়ার পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা। যোগীরাজ্যের বেসরকারী একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন। পড়াশোনা শেষের পথে। ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করছিলেন। জুন মাসে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। বইগুলি কুরিয়্যার করে পাঠাচ্ছিলেন পূর্ব পাড়ার বাড়িতে। ছেলের আসার খুশিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি পরিবার। কিন্তু কোথায় কী? এক ফোন কলে সব স্বপ্নের সমাধি!

    বুধরাতে অর্ণবের বাবা অরুণ চক্রবর্তীকে ফোন করে বলা হয়, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁর ছেলে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই চুপচাপ হয়ে রয়েছেন তিনি। পাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে খবর। বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। এক প্রতিবেশী বলেন, “খুব মিষ্টি ছেলে। দেখতেও সুন্দর। পড়াশোনাতেও ভালো। ছেলে ফিরবে বলে আরও একটি ঘর তৈরি করছিল ওর বাবা। ওকে আমরা সাহেব বলে ডাকতাম। সাহেব আর নেই, বিশ্বাসই করতে পারছি না।” অর্ণবের বাবাকে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই বলছেন, “সব শেষ হয়ে গেল, সব শেষ।”

    উল্লেখ্য, বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় দিল্লি-লখনউ জাতীয় সড়কে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি গাড়ির। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় চার চিকিৎসক পড়ুয়ার। তার মধ্যে রয়েছে দুই বাঙালি পড়ুয়া। চারজনের মধ্যে একজন বেলঘরিয়ার অর্ণব। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)