বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণির ছাত্র। দেখে রাস্তার ধারে গাছে বড় বেড়ালের মতো দেখতে প্রাণী গাছে ওঠার চেষ্টা করেছে। সাইকেল দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে পাঠায় বাবাকে। তা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ বাবার। ছবিটি কোনও বড় বেড়ালের নয়, সেটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শাবক। ফোন করে ছেলেকে দ্রুত জায়গাটি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে, খবর দেন বনদপ্তরে। শুরু হয় তল্লাশি। আতঙ্কে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। শঙ্কা শাবক রয়েছে মানে আশপাশে রয়েছে বাঘিনীও।
ঘটনাটি পূর্ব সিকিমের গ্যাংটক থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে শ্যায়ারি এলাকার। ছাত্রটি ছবি তোলার পর বুধবার রাতে বিষয়টি সামনে এসেছে। জনবহুল গ্যাংটক শহরের এতো কাছে ডোরাকাটা বাঘের দেখা মিলবে তা সিকিম বনদপ্তরের কর্তাদের ভাবনাতেও ছিল না। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ছবি দেখার পর বনদপ্তরের আধিকারিকরা নিশ্চিত শাবকের সঙ্গে নিশ্চয়ই মা আছে। তাই আশপাশের লোকালয়ে বিপদ দেখা দিতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে বনকর্মীরা শাবকটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। তবে তার খোঁজ মেলেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক ও সিকিম বনদপ্তরের উপদেষ্টা, তেনজিং নরবু লামথা।
সিকিমের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (পূর্ব সিকিম, ওয়াইল্ডলাইফ) নর্দেন ভুটিয়া জানান, সিকিমের পাঙ্গোলাখা ও ভুটানের সামসে জঙ্গলের মধ্যে করিডর রয়েছে। ওই করিডর দিয়ে বন্যপ্রাণীদের বিশেষ করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অবাধ বিচরণ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গ্যাংটক জেলার শ্যায়ারি এলাকা ও চোংয়ে জঙ্গলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে বাঘ শাবকের হদিশ মেলেনি। বনকর্তাদের অনুমান শাবকটি জঙ্গলের গভীরে মায়ের কাছে চলে গিয়েছে। যদিও আশেপাশের এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।