• ‘বাংলায় আসা ওড়িয়াদের সঙ্গেও রাজ্য সরকার যদি একই কাজ করে?’, শ্রমিক ‘হেনস্তা’য় হুঙ্কার মহুয়ার
    প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহ। ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের চারজন শ্রমিককে ওড়িশার নয়াগড়ে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। সমাজমাধ্যমে তা নিয়ে পোস্টও করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মহুয়ার হুঙ্কার, বাংলায় আসা ওড়িশার শ্রমিকরা যদি হেনস্তার শিকার হন, কী পরিস্থিতি হবে?

    সম্প্রতি ওড়িশা থেকে আসা মুর্শিদাবাদের এক শ্রমিক তাঁর ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান। বলেন, কয়েকদিন ধরে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। ওড়িশার নয়াগড়ের বেশ কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন বলেই অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও লাভ হয়নি। পরিবর্তে বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলেও দাবি। ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ বলেন, “এই খবর পাওয়ার পর শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    এই প্রসঙ্গেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মহুয়া। তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেন, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বেশ কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রি করতে ওড়িশার নয়াগড়ে যান। এই প্রথম নয়। গত প্রায় ১৮ বছর ধরে ওড়িশায় গিয়ে ব্যবসা করছেন তাঁরা। অথচ তাঁদেরই বাংলাদেশি সন্দেহে গত ২৭ নভেম্বর থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আধার কার্ড-সহ নানা পরিচয়পত্র দেখিয়েও লাভ হয়নি। পরিবর্তে ভাড়াবাড়ির মালিককে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে বের করেও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ হারান সাংসদ। তাঁর হুঙ্কার, “বাংলায় মালি, কলমিস্ত্রি, রাঁধুনি-সহ লক্ষ লক্ষ ওড়িয়া জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের সঙ্গেও যদি বাংলার সরকার একই আচরণ করে? কী পরিস্থিতি হবে ভেবে দেখেছেন?” প্রসঙ্গত, বারবার ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে পথে নেমে আন্দোলনও করেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)