• শ্বাসনালিতে খোঁপার ক্লিপ! শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে রেকর্ড কলকাতা মেডিক্যালের
    প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • রমেন দাস: আচমকা শ্বাসকষ্ট! মৃতপ্রায় অবস্থা শিশুর! অসহায় পরিবার বুঝতেও পারছে না, আসলে কী হয়েছে ওর। ঠিক এমন অবস্থাতেই ঈশ্বরদূত হিসেবে ধরা দিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আপ্রাণ চেষ্টায়, কঠিন অস্ত্রোপচাররে প্রাণ বাঁচালেন ৭ বছর বয়সি ওই শিশুর। যার শ্বাসনালিতে আটকে ছিল প্রায় ৩.৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি পিন। সাধারণভাবে মহিলারা খোঁপায় গোঁজেন যে ক্লিপ।

    ঠিক কী হয়েছিল? হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২৫ নাগাদ হাসপতালের নাক কান গলা বিভাগের জরুরি বিভাগে আনা হয় ওই শিশুকে। হাওড়ার শিবপুর এলাকার খুরশেদ আলমের শিশুকন্যা তখনও শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক একাধিক সমস্যা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং পূর্ববর্তী হাসপতালের চিকিৎসা বিবরণ খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকেরা। জানা যায়, শিশুর খাদ্যনালি পেরিয়ে ততক্ষণে ওই দৈত্যাকার পিন বা ক্লিপ পৌঁছে গিয়েছে তার শ্বাসনালীতে।

    সঙ্গে সঙ্গেই মেডিক্যাল কলেজের নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক (ডাঃ) দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় বের করা হয় প্রাণঘাতী ওই ক্লিপ। অস্ত্রোপচারের দলে ছিলেন চিকিৎসক শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক সোমদত্তা ঘণ্টি। অন্যদিকে অ্যানাস্থেসিয়ার ডাঃ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ডাঃ সুজিত কুমার গোস্বামীরাও ছিলেন ওই দলে।

    যদিও এমন ঘটনার পর শিশুর পরিবারের প্রতি আরও সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই অস্ত্রোপচারের নেপথ্যে নায়ক ডাঃ দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দীর্ঘ মাপের এই পিন বা ক্লিপ শিশুর প্রাণ নিয়ে নিতে পারত। আমাদের পুরো টিম তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চেষ্টা করেছে রোগীর প্রাণ বাঁচাতে। আপাতত ওই শিশুর স্থিতিশীল।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)