• শুভেন্দু শুনানিতে চান মাইক্রো-পর্যবেক্ষক
    আনন্দবাজার | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • জেলা প্রশাসনের মদতে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, মূলত মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রায় ১.২৫ কোটি অবৈধ ভোটারের নাম এসআইআরে তুলে ফেলেছে। বিতর্কিত ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে শুনানির সময়ে মাইক্রো-পর্যবেক্ষক রাখার দাবিও তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দু আজ বলেন, ‘‘গত মাসের শেষ সপ্তাহে বিএলওদের কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে প্রায় ১.২৫ কোটি অবৈধ ভোটারের নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। অনেক বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন যাঁদের নাম ২০০২ বা ২০২৫ সালের তালিকায় নেই। তাঁদের বাবা ও মায়ের নাম পাল্টে দিয়ে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মূলত ওই কাজ করছে আই প্যাক ও তৃণমূলের গুন্ডারা। বেশ কিছু জেলাশাসক এতে মদত দিচ্ছেন।’’

    সম্প্রতি জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২২০৮টি বুথে ২০০২ সালে যত জন ভোটার ছিলেন ২০০২৫ সালেও তত জনই রয়েছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওই গ্রামগুলি অমর বুথ। (২৩ বছরে) কারও মৃত্যু হয়নি, বা বিবাহ হয়নি। পরে ওই ধরনের বুথের সংখ্যা ৪০০-তে নেমে এসেছে। ওই বুথগুলির ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করার দাবি জানানো হয়েছে।’’ খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে না, তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে শুনানির কথা রয়েছে কমিশনের। ওই শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) বা সহকারি ইআরও। ইআরও-রা সরকারি কর্মী হওয়ায় তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘যে শুনানি হবে তা সরাসরি ওয়েব কাস্টিং-এর দাবি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে মাইক্রো-পর্যবেক্ষক রাখা হোক।’’

    তৃণমূলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘অসত্য অভিযোগ। এসআইআর করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ৭-৮ শতাংশ লোক মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১০-১২ শতাংশ নাম বাদ পড়ছে। আর শুভেন্দু বলছেন, আমরা না কি বাড়তি লোকের নাম অন্তর্ভুক্ত করছি।’’ বিএলও-দের উপরে চাপ দেওয়ার প্রশ্নে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিএলও-রা সরকারি চাকুরে। তাঁরা জানেন ভুল এন্ট্রি হলে তাঁদের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। এমন ঝুঁকি কেউ নেয়?
  • Link to this news (আনন্দবাজার)