দিল্লিতে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করেছিল, বিএলও-দের সাম্মানিক বাবদ অর্থ দ্রুত ছেড়ে দিক রাজ্য সরকার। কমিশন সূত্রের খবর, এ নিয়ে ফের এক বার অর্থ দফতরে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বিএলও-দের সাম্মানিক প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এ বার ১২ হাজার টাকা হয়েছে। বিশেষ ভাতা-সহ তাঁরা মোট ১৪ হাজার টাকা পাবেন। বিএলও সুপারভাইজ়ারদের পাওয়ার কথা ১৮ হাজার টাকা। প্রায় ৮১ হাজার বিএলও কাজ করছেন। অভিযোগ, কমিশন বরাদ্দ অনুমোদনের পরেও তাঁদের টাকা দেওয়া যায়নি। কমিশনের দাবি, এখনও অর্থ দফতর বরাদ্দ ছাড়েনি।
বুধবার কমিশনের তথ্য—প্রায় ৫০.২২ লক্ষ ফর্ম অসংগৃহীত। তার মধ্যে মৃত ভোটার ২৩ লক্ষের কিছু বেশি। ঠিকানা বদল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষ, অনুপস্থিত প্রায় আট লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ফর্ম প্রায় দেড় লক্ষ। এমন ফর্ম হুগলিতে প্রায় ২.৪৭ লক্ষ, পূর্ব বর্ধমানে প্রায় ১.৯৬ লক্ষ, কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রায় ১.৮৬ লক্ষ, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১.৮৪ লক্ষ। যে ফর্ম জমা পড়েনি, তা বুধবার রাতের মধ্যে আপলোডের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। তিনি বলেন, “খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে বুঝতে পারব, কাজটা কতটা যথাযথ হয়েছে। কোনও কাজই চূড়ান্ত নয়। এর পরেও স্ক্রুটিনি হতে পারে।”