• ইসলামাবাদের হয়ে চরবৃত্তি! ধৃত প্রাক্তন সেনা কর্মী ও এক মহিলা
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • আমেদাবাদ: সেনা সম্পর্কিত গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করল গুজরাতের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। ধৃতদের নাম অজয়কুমার সিং ও রাসমণি পাল। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অজয় আদতে বিহারের বাসিন্দা। ২০২২ সালে সেনার হাবিলদার পদ থেকে অবসরের পর গোয়ার একটি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করছিলেন তিনি। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে কর্মরত থাকাকালে অঙ্কিতা শর্মা নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই মহিলা আসলে পাকিস্তানি গোয়েন্দা অফিসার। মুলতান ও সারগোধা থেকে অজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নানা অজুহাতে অজয়ের থেকে বিভিন্ন তথ্য আদায় করতেন ওই মহিলা। হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়াই যাতে ওই তথ্য পাঠানো যায়, সেজন্য অজয়ের ফোনে আলাদা অ্যাপও ইনস্টল করানো হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই তদন্তকারীদের রেডার ছিলেন অজয়। তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

    অন্যদিকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন থেকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাসমণিকে হেপাজতে নিয়েছে গুজরাতের এটিএস। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই মহিলাকে হানিট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করত পাক গুপ্তচররা। ভুয়ো পরিচয় পত্রও তৈরি করে দিয়েছিল তারা। এটিএসের সুপারিনটেনডেন্ট সিদ্ধার্থ করুকোন্ডা জানিয়েছেন, প্রিয়া ঠাকুর নাম ব্যবহার করে দমনে থাকছিলেন রাসমণি। টিউশন করতেন। তার আড়ালেই পাকিস্তানি হ্যান্ডলার আব্দুল সাত্তার ও খালিদের নির্দেশে কাজ করতেন তিনি। একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে সেনা সম্পর্কিত বহু গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতেন ‘প্রিয়া’। তারপর সেগুলি হ্যান্ডলারদের পাঠিয়ে দিতেন। তাদের নির্দেশে ইতিমধ্যেই সেনার একাধিক ইউনিট, যুদ্ধের মহড়া, বাহিনীর ‘মুভমেন্ট’ নিয়ে বহু নথি পাঠিয়েছিলেন ‘প্রিয়া’। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড, আর্থিক লেনদেন সহ বিভিন্ন তথ্য ধৃতদের মোবাইল ফোন থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এটিএস সূত্রে খবর, আব্দুল লাহোর থেকে প্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অন্যদিকে, খালিদ মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে ভিপিএন ব্যবহার করে ফোন করত ধৃত মহিলাকে।  
  • Link to this news (বর্তমান)