সন্দীপন দত্ত, মালদহ: এসআইআর পর্বে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার গাজোলের সেই সভার একদিন পরেই কাজ শুরু করে দিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
১১ তারিখ পর্যন্ত ফর্ম ডিজিটাইজ করার কাজ চলবে। তার পরদিন, অর্থাত্ ১২ ডিসেম্বর থেকে ব্লকে ব্লকে ‘মে আই হেল্প ইউ’ ক্যাম্প শুরু হবে। তারই জোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি ও মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।
রহিমের কথায়, জেলার ১৫টি ব্লকে ওই শিবিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের সবস্তরের নেতা,কর্মীদের। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
ফেব্রুয়ারিতেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলনেত্র্রী। তার আগে জেলা নেতৃত্বকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দলনেত্রীর নির্দেশ, জেলা নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়।
ফেব্রুয়ারিতে ভোট ঘোষণা হলে খুব বেশি সময় হাতে থাকবে না। তাই জনসংযোগ ও প্রচারে কোন কোন কর্মসূচি নেওয়া হবে, তার ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর। এপ্রসঙ্গে জেলা সভাপতি বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচির কথা জানাবে। তার পাশাপাশি আমরা দু’তিন দিন পর জেলা কমিটির বৈঠক ডাকব। আর কী কী কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে সেখানে।
এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে রহিমের মন্তব্য, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন কমিশন বৈধ ভোটারের নাম কাটার চেষ্টা করছে। সেটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যাতে একজন বৈধ ভোটারের নামও বাদ না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বুথস্তরে কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে।
বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এসআইআর ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা সত্ত্বেও কমিশনের পোর্টালে যখন সেটা আপলোড করা হচ্ছে, নাম ও পদবির বানানে ভুল থেকে যাচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর যে সমস্যা হবে, তৃণমূল কর্মীরা সবাই মিলে যাতে দ্রুত সমাধান করতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে পারেন, তার জন্যই ‘মে আই হেল্প ইউ’ শিবির করা হচ্ছে।
ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯টি সাংগঠনিক ব্লক রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি সাংগঠনিক ব্লকে ভোটাধিকার রক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান দলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু।
মালদহ জেলায় ৩ হাজার ১০৬টি বুথ রয়েছে। এসআইআরের কাজে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে দু’টি ছাড়া বাকি ৩ হাজার ১০৪ টি বুথেই তৃণমূল কংগ্রেস বিএলও-২ (বুথ লেভেল এজেন্ট) নিয়োগ করেছে। এবার সামনে নতুন কর্মসূচি সফল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।