দূরপাল্লার জোড়া ট্রেন সহ একাধিক দাবিতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুকান্ত
বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন ও বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। রেল সম্পর্কিত একটি দাবিপত্র রেলমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত বালুরঘাট-বেঙ্গালুরু এবং বালুরঘাট-গুয়াহাটি রুটে দুটি নতুন ট্রেনের দাবি রেখেছেন। দীর্ঘপ্রতীক্ষিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ নতুন রেললাইন সম্প্রসারণের জন্যও অর্থবরাদ্দ সহ প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চাইছেন তিনি।
বালুরঘাটের পর গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানানো হয়েছে। জেলার মধ্যে উপেক্ষিত দৌলতপুর হল্টকেও স্টেশনের মর্যাদা, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও দূরপাল্লা ট্রেনের স্টপ চাওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের দাবি মেনে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তর অফিসে সাধারণ মানুষের চিঠি পৌঁছেছে, যেখানে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে রায়গঞ্জ- ডালখোলা ও গাজোল-রায়গঞ্জ ভায়া ইটাহার নতুন রেল প্রকল্পের জন্য যাতে রেলমন্ত্রী বিবেচনা করেন।
পাশাপাশি বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটিকে রামপুর বাজারে দাঁড়ানোর জন্য দাবি তুলেছেন সুকান্ত। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ওই রুটে ১২ জায়গায় আন্ডারপাস তৈরি হচ্ছে। সুকান্ত আন্ডারপাসের পরিবর্তে রেল ওভারব্রিজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রীকে। জেলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নিরন্তন কাজ করে চলছেন সুকান্ত। লোকসভা নির্বাচনে জেলার রেল উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সুকান্ত। দ্বিতীবারের জন্য সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা বেড়েছে দ্বিগুণ। এবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে জেলার রেল যোগাযোগ উন্নতিতে কতটা কী করতে পারেন, সেদিকে তাকিয়ে জেলাবাসী। সুকান্ত বলেন, রেলমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ, গাজোল-ইটাহার রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে চিঠি দিয়েছি। বালুরঘাট থেকে জোড়া নতুন দূরপাল্লার ট্রেনের দাবি জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে। রেলমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলার রাজনৈতিকমহল মনে করছে, রেলকে হাতিয়ার করেই বিধানসভার রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে চাইছে পদ্মপার্টি।
যদিও শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেল উন্নয়নের নামে জেলাবাসীর আবেগ নিয়ে খেলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, সুকান্তবাবু আগে এসআইআরের ধাক্কা সামলান। তারপর জোড়া ট্রেন চালু করবেন। একই প্রকল্পের জন্য বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী রেলমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। আবার সুকান্তবাবু যাচ্ছেন। যা হাস্যকর। এইসব প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শুরু হয়েছিল।