• সামশেরগঞ্জে বধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সামশেরগঞ্জের রতনপুরে। অভিযোগের তির মৃতার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতর নাম তনুশ্রী দাস (২৫)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুরে মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। বাড়িতে তাঁর তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তনুশ্রীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে সামশেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবারের লোকজন। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ধৃতদের জঙ্গিপুরে মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তরা তনুশ্রীকে খুন করে সিঁড়ি থেকে পড়ে মৃত্যুর গল্প বানাচ্ছে বলে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি। দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সামশেরগঞ্জ থানার এক পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুরে মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

    পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সামশেরগঞ্জের জালাদিপুরের তনুশ্রীর সঙ্গে ওই থানা এলাকারই যুবক অরিন্দম চৌধুরীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম দিকে কিছুদিন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। তারপরেই দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত বলে দাবি। গৃহবধূ কয়েকদিন আগে বাপের বাড়িতে যান। দিন চারেক আগে বাপের বাড়ি থেকে আসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফোন করে বধূর বাপের বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়। সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা গিয়েছে বলে জানায়।  পরিবারের লোকজন এসে দেখতে পান মৃতদেহের থুতনিতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতার দাদা দেবাশিস দাস বলেন, ফোনে আমাদের বলা হয় সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথা ফেটে গিয়েছে। বোনের বাড়িতে আমরা এসে দেখি মাথায় কোন আঘাতের চিহ্নই নেই। থুতনিতে, পা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে, ওরা নানারকম কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, অবাক করার মতো বিষয়, ঘরের বউ মারা গিয়েছে কিন্তু পরিবারের লোকজন সব নিজের ঘরে বসে রয়েছে। কারও মধ্যে কোন শোক বা ব্যথা নেই। ওদের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক পুলিশ।

    কাঞ্চনতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাজেমা খাতুন বলেন, বিশেষ কাজে এলাকার বাইরে রয়েছি। তবে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মারফত জেনেছি। কী ঘটেছে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
  • Link to this news (বর্তমান)