• তেহট্টে বালক খুন, গণধোলাইয়ে মৃত দুই
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: তেহট্ট থানার নিশ্চিন্তপুরে স্বর্ণাভ বিশ্বাস খুনের ঘটনার ৮৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তিনজনের নামে পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়। তাদের মধ্যে উৎপল মণ্ডল ও সোমা মণ্ডল সেই দিনই গণপ্রহারে প্রাণ হারায়। আর এক অভিযুক্ত তাদের বড় বউমা নিশা মণ্ডল। ধৃত এখনও কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় স্বর্ণাভের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। উৎপলের ছোটছেলে ছোট্টু মণ্ডল, তার স্ত্রী সুপ্রিয়া ভোমিক, উৎপলের মামা কার্তিক মণ্ডল ও মামি সুচিত্রা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের নামে চার্জশিট জমা দেয়নি পুলিশ। তারা এখনও জেল হেপাজতেই আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরে কোনও প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের নাম সাপ্লেমেন্টারি চার্জশিটে যোগ করা হবে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর নিশ্চিন্তপুর বটতলা এলাকায় একটি পুকুর থেকে স্বর্ণাভ বিশ্বাস নামে ৯ বছরের এক বালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্বর্ণাভকে তার আগের দিন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এলাকার বাসিন্দারা সারারাত খোঁজাখুঁজি করলেও তার সন্ধান পায়নি। সকালে পুকুর থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে প্রতিবেশী উৎপল মণ্ডল, সোমা মণ্ডল ও তাদের বড় বউমা নিশা মণ্ডলকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে পুলিশ উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে উৎপল ও সোমাকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিশাকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত করা হয়। ফরেনসিক তদন্তও হয়। পুলিশ বৃহস্পতিবার তেহট্ট আদালত চার্জশিট জমা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে তিনজনের নামে প্রায় ৫০০ পাতার চার্জশিট জমা পড়েছে। 

    মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, আমরা সঠিক সময়েই চার্জশিট জমা করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)