• খসড়া তালিকা প্রকাশের পর গর্ত থেকে বেরবে সিপিএম: মানস
    বর্তমান | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: গত এক মাস তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দিনরাত এক করে এসআইআরের ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণে ভোটারদের সাহায্য করেছেন। সিপিএমকে এতদিন ময়দানে দেখা যায়নি। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ পেলে গর্ত থেকে সিপিএম বের হবে। ফের তাদের ভোটের বাজারে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার বামেদের শক্তঘাঁটি বড়জোড়ায় দাঁড়িয়ে এই ভাষায় সিপিএমকে কটাক্ষ করলেন সেচমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। এসআইআরের ফর্ম পূরণ ও দিদির দূতের কাজ খতিয়ে দেখতে এদিন মানসবাবু বড়জোড়ায় যান। তিনি বড়জোড়ার একটি কালী মন্দির থেকে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে চৌমাথা মোড়ে তৃণমূলের ‘ওয়ার রুমে’ যান। সেখানে গিয়ে এসআইআরের অগ্রগতি সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের কাছে বিশদে জানতে চান। বড়জোড়া ব্লক তথা বিধানসভা এলাকার কাজ নিয়ে মানসবাবু সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে বড়জোড়া বিধানসভা ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ছিলেন।  

    সিপিএমের বড়জোড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুজয় চৌধুরী বলেন, বড়জোড়ার সব বুথে দলের তরফে বিএলএ-টু দেওয়া হয়েছে। সস্তা প্রচার পেতে তৃণমূলের মতো রাস্তার মোড়ে আমরা মাইক, প্যান্ডেল টাঙিয়ে বসিনি। খেতমজুর পাড়ায় কমিউনিটি সেন্টার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমরা ভোটারদের ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করেছি। বড়জোড়ায় সিপিএমের পালে হাওয়া লেগেছে বুঝেই মন্ত্রী আমাদের আক্রমণ করেছেন।      

    মানসবাবু বলেন, আমি গত আট দিন ধরে দলের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এসআইআরের কাজ খতিয়ে দেখেছি। প্রথম দিকে আমরা এই তিন সাংগঠনিক জেলায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশমতো কাজ করার ফলে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। বড়জোড়ায় ভালো কাজ হয়েছে। তারজন্য দলের তরফে কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। নির্বাচন কমিশন বিএলও এবং রাজনৈতিক দলগুলির উপর জোর করে এসআইআর চাপিয়ে দিয়েছে। দু’বছরের কাজ একমাসে করা হচ্ছে। তারফলে সকলেই সমস্যায় পড়েছে। আগামী এক মাস আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে অনেকেই বাইরে থেকে এসে বসবাস করছেন। কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, তা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দেখতে হবে।  

    বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিন মানসবাবু বড়জোড়ায় কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেন। আমার বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সব যাতে বাস্তবে রূপ পায়, তা দেখবেন বলে মানসবাবু আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আমাকে সেচমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন।
  • Link to this news (বর্তমান)