অভিযোগ, দোকানের ভিতর বিশেষ কেবিন তৈরি করে ঘণ্টা চুক্তিতে গোপনে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা রাখা হত। রমরমিয়ে চলত এই মধুচক্রের আসর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পুরো বাজারজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বেতাই বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ওই দোকানে বহুদিন ধরেই সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনা লক্ষ্য করা হচ্ছিল।
একাধিকবার দোকানির কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালিয়ে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সেই সুযোগ আসে। অভিযোগ, বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী এক তরুণ ও তরুণীকে দোকানের ভিতরে ঢুকতে দেখে অন্যদের খবর দেন।
এরপর ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা একযোগে দোকানে ঢুকে অসামাজিক কাজকর্মের প্রমাণ পান বলে দাবি করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা দোকানে ভাঙচুরও চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে সেখানে তরুণ-তরুণী সহ মোট তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেতাই বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এই ব্যস্ত বাজারের পাশে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন বহু মানুষের যাতায়াত।
এমন সংবেদনশীল এলাকায় ব্যবসার আড়ালে এ ধরনের কার্যকলাপ চললে তা সমাজের জন্য বিপজ্জনক। ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য পাঠ্য বিশ্বাস ও স্বপন ঘোষ বলেন, ‘দিনের পর দিন এমন ঘটনা চলতে দেওয়া যায় না। বাজারের পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।’
তাঁদের দাবি, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ ও প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেতাই বাজারে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে।