সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোষাগারে টান পড়লেই তামাকজাত পণ্যের করবৃদ্ধি কেন? সরকার যদি আমজনতার স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ করে থাকে, তাহলে ধীরে ধীরে তামাকজাত পণ্য উৎপাদন কেন বন্ধ করছে না? এবার সংসদে প্রশ্ন তুলল আম আদমি পার্টি। একদিন আগে এই একই প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ও।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার বিড়ি-সিগারেট তথা অন্যান্য তামাকজাত পণ্যকে ‘পাপ পণ্য’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ওই ধরনের পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আগেই বসানো হয়েছিল। এবার সেগুলির উপর অতিরিক্ত সেসও বসানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্যসভায় আপ সাংসদ সন্দীপ পাঠকের প্রশ্ন, “আপনারা কি ধীরে ধীরে তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, নাকি সরকার করের টাকায় রাজকোষ ভরিয়েই খুশি?”
পাঠক মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই তামাকজাত পণ্যই ভারতের মোট রাজস্বের ৩ শতাংশ সরকারকে দেয়। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তাঁর প্রশ্ন, রাজকোষ ভরাতে বারবার বিড়ি-সিগারেটেই কোপ কেন? দরকার হলে এর উৎপাদন বন্ধ করা হোক। আপ সাংসদের সাফ কথা, গোটা বিষয়টা ভেবে দেখা দরকার। জনস্বাস্থ্য যদি সরকারের প্রাধান্য হয় তাহলে সেটা পরিষ্কার করে বলা উচিত। আপনাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, রাজকোষ ভরাতেই এই কর চাপানো হচ্ছে।”
একদিন আগে এ নিয়ে লোকসভায় সরব হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ও। সিগারেট-সহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর শুল্ক বসিয়ে পরোক্ষে তামাক সেবনে উৎসাহ দিচ্ছে বলে সরব হন তিনি। বুধবার লোকসভায় সেন্ট্রাল এক্সাইজ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। আগেই বিলটি পেশের সময়েও আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল। এদিন বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বিরোধিতায় সরব হন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “যখনই কোষাগারে টান পড়ে, তখনই কেন্দ্রীয় সরকার সিগারেট-সহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর শুল্ক বসায়। কেন সরকারের হাতে অন্য কোনও বিকল্প থাকবে না? কেন সরকারকে তামাকজাত দ্রব্যের উপর বসানো শুল্কের ওপর নির্ভর করতে হবে?”