• থমকে কলকাতা মেট্রোর উন্নয়ন, লোকসভায় সরব তৃণমূল সাংসদ
    আনন্দবাজার | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই লোকসভায় মেট্রো রেলের নতুন প্রকল্পগুলি রূপায়ণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। উত্তরে রাজ্যের ভূমিকাকেই দুষেছে কেন্দ্র। আজ সংসদের জ়িরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ মালা রায় ফের মেট্রো রেলের উন্নয়ন থমকে যাওয়া নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার কলেবর বৃদ্ধি হয়েছে, বেড়েছে জনসংখ্যাও। কিন্তু সেই তুলনায় মেট্রো রেলের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ বরাদ্দের হার ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, এর ফলে প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে মেট্রোর সুষ্ঠু পরিষেবা। তিনি মেট্রোয় অপ্রতুল কর্মী-সংখ্যার কথাও উল্লেখ করেন।

    মালার কথায়, “কলকাতাবাসীর পরিবহণ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই দেশের মধ্যে প্রথম মেট্রো রেল চালু হয়েছিল কলকাতায়, ১৯৮৪ সালে। লক্ষ্য ছিল, দ্রুত গতিসম্পন্ন যানবাহন ব্যবস্থার মাধ্যমে শহরের জনজীবন সচল রাখা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিশেষত উত্তর-দক্ষিণ ব্লু লাইনে (দমদম-টালিগঞ্জ) অফিসের সময়ে প্রবল ভিড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আসলে পুরনো রেকের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে প্রায়ই বাতিল হয় ট্রেন। সে সময়ে হাজার হাজার যাত্রীর চাপে দমবন্ধ পরিবেশের সৃষ্টি হয় প্ল্যাটফর্মে। বিঘ্নিত হয় যাত্রী-নিরাপত্তাও। স্বাচ্ছন্দ্য তো দূর অস্ত্‌, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় শহরবাসীকে। ঘটে দুর্ঘটনাও।” সাংসদের অভিযোগ, উত্তর-দক্ষিণের ওই রুটের প্ল্যাটফর্মগুলিতে স্থানাভাব থাকার কারণে যাত্রীদের চাপ বাড়লেই লাইনে পড়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভোগেন অনেকে।

    মালা আজ লোকসভায় বলেন, “রেল মন্ত্রক নতুন রুটে মেট্রো উদ্বোধন করলেও পুরনো রুটের প্ল্যাটফর্ম, রেক, টানেল সংস্কার, ট্র্যাক ফিটিং এবং সিগন্যাল আপগ্রেড করার কাজে সে ভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।” সব মিলিয়ে বিষয়টি মেট্রোর যাত্রীদের কাছে দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)