প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে প্রথমবার চা বাগানটি বন্ধ হয়। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর বাগান খোলে। তারপর থেকে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বাগানে কাজ নিয়ে ঝামেলা। শ্রমিকদের বক্তব্য, ১ ডিসেম্বর থেকে বাগানে অর্ধেক বেলা কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় পুরো বেলা কাজ করতে হবে। এনিয়ে শুরু হয় শ্রমিক ও বাগান কর্তৃপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল। বাগান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ম্যানেজার সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে বানারহাট থানার পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গত ২ ডিসেম্বর বাগানের বেশকিছু শ্রমিকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে কর্তৃপক্ষ। এরপরই নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে বুধবার বাগানে নোটিশ দিয়ে চলে যায় কর্তৃপক্ষ।
তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের ইউনিট কমিটির সম্পাদক সুরজ বিশ্বকর্মা বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। নিয়মবহির্ভূত কাজ করানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এছাড়াও যেসমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন, কোনওটাই দেওয়া হচ্ছিল না।
তবে এব্যাপারে বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন ডিবিআইটিএর সম্পাদক শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, বাগান খোলার পর মাত্র আড়াই মাস কাজ হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই বাগানে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কতিপয় কিছু ব্যক্তি রাজনীতির চাদর গায়ে দিয়ে বাগানে বিভিন্ন অজুহাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে যা মেনে নেওয়া যায় না। কারণ-অকারণে বাগানে কাজের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এই কারণে ‘কর্মবিরতি’র নোটিশ দিয়ে বাগান বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন যাতে বাগানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখে এটা আমাদের দাবি।
ডেপুটি লেবার কমিশনার শুভাগত গুপ্ত বলেন, কর্মবিরতির নোটিশ পেয়েছি। আমরা চা বাগানটির পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।