• হুমায়ুনের 'মসজিদ'-এ হস্তক্ষেপে নারাজ হাইকোর্ট, শান্তিরক্ষায় দায়িত্ব রাজ্যেরই
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • অর্নাবাংশু নিয়োগী: মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস নিয়ে হওয়া মামলায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিরক্ষার দায়িত্ব রাজ্যেরই। হুমায়ুন কবীরের কর্মসূচিতে কোনও হস্তক্ষেপ নয়। এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস, হুমায়ূন কবীরের কর্মসূচি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় ওই রায় দিল হাইকোর্ট।

    উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। ফলে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করুক। এমনটাই সওয়াল করেন মামলার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ওখানে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। 

    আদালতের তরফে আজ বলা হয়, মুর্শিদাবাদের মানুষের জন্য গোটা জেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। আশা করব রাজ্য সরকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়  মুর্শিদাবাদে ইতিমধ্যেই ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। রাজ্য সেই বাহিনী ব্যবহার করতে পারে।

    শনিবার মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের সাসপেনডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আজ আদালতের রায় শুনে হুমায়ুন বলেন, মাননীয় হাইকোর্ট হাইকোর্ট সঠিক কথাই বলেছেন। রাজ্যের যে কোনও উত্সবে আইন শৃঙ্খলার রক্ষায় দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। আইনশৃঙ্খলার অবণতি হবে কেন? আমরা আইনশৃঙ্খলার অবণতি হতে দেব কেন? আমার নিজের ২০০০ ভলান্টিয়ার থাকবে। পাশাপাশি পুলিস থাকবে। আশা করছি, আগামিকাল বহরমপুর থেকে পালাশী জাতীয় সড়ক জ্যাম হয়ে যাবে। কিছু মানুষ ভীতি সৃষ্টি করছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে আমার সম্পর্কে যা বলে গেলেন তাতে আমার খুব দুঃখ লাগছে। তিনি যখন মন্দির বানান তখন তো বিরোধিতা করি না। তিনি যখন রেড রোড আটকে কার্নিভ্যাল করেন তখন বিরোধিতা করিনি। মসজিদ করা আমার আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)