কংগ্রেসে আস্থা নেই! কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে মমতার সাহায্য চান ওমর
প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর যাতে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পায়, তা নিয়ে বারবার দাবি তুলছে শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। এবার সেই দাবি যাতে আরও জোরালো হয়, সেজন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতা চান কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথমদিন সোমবার রাজ্যসভায় ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের তিন জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ওমর।
সেইমতো বৃহস্পতিবার পুরনো সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়ানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন এনসি-র রাজ্যসভার দলনেতা চৌধুরী মহম্মদ রমজান-সহ নতুন দুই সাংসদ। সেখানেই রমজান জানিয়েছেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী ওমরের নিয়মিত কথা হয়। তিনি আমাদের সংসদে মমতা দিদির দলের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে বলেছেন।” গত জুলাই মাসে কলকাতায় মমতার সঙ্গে ওমরের সাক্ষাতের প্রসঙ্গও টানেন তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতির বড় অংশ পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং পহেলগাঁও হামলার পর থেকে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা কমে গিয়েছে। সেই সমস্যার কথা উল্লেখ করে বাঙালি পর্যটকরা যাতে জম্মু-কাশ্মীরে যান, তার জন্য মমতার অনুরোধের কথাও তুলে ধরেন রমজান। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের সমর্থনে তাঁদের সরকার থাকলেও রাজ্যের তকমা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের উপরে যে তাঁরা বিশেষ ভরসা করতে পারছেন না, সেই ইঙ্গিত এদিন এনসি-র কথাতেই বোঝা গিয়েছে। নির্বাচনের সময়ে তাঁদের বহু জেতা আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিলেও শরিক দলে যে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
এদিকে সূত্রের খবর, সংসদে বিশেষত রাজ্যসভায় প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেসের দাবিকে অধিকাংশ সময় পাত্তা না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীদের প্রাধান্য দিচ্ছে সরকারপক্ষ। সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে বন্দে মাতরম ও নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলার জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ার বাতিল করে আলোচনা শুরু করার কথা বলা হয়। কিন্তু দুটি বিষয়ই সাংসদদের অধিকার বলে তা খারিজ করে দেন চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণণ। আবার কংগ্রেসের কম সময়ে আলোচনার দাবিকে খারিজ করে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধীদের দাবি মেনে দুটি বিষয়ের উপরেই দশ ঘণ্টা করে আলোচনার দাবি মঞ্জুর করা হয়।