সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোতে এখন চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। কার্যত ধসে পড়েছে ওই সংস্থার পরিষেবা। শুক্রবারও দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তের সব অন্তর্দেশীয় বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। যার ফলে বিমানবন্দরগুলিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে উড়ান সংক্রান্ত নয়া নিয়ম আংশিক প্রত্যাহার করল কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)।
গত নভেম্বরে নয়া নির্দেশিকা এনে বিমানকর্মীদের বিশ্রাম এবং ছুটির নিয়মে বদল ঘটায় ডিজিসিএ। নিয়ম অনুযায়ী, বিমান সংস্থাগুলি বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের বিকল্প হিসাবে গণ্য করতে পারবে না। অর্থাৎ সাপ্তাহিক বিশ্রাম এবং ছুটির দিন দু’টি পৃথক। এই নির্দেশিকাই আপাতত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বিমানকর্মীদের ছুটির দিনকেই সাপ্তাহিক বিশ্রামের দিন হিসাবে গণ্য করা হবে। ডিজিসিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং একাধিক বিমানসংস্থা থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে আগের নির্দেশিকাটি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে।’
গত ৩ দিনে ইন্ডিগোর প্রায় ৩ হাজার ৪০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই বাতিল হয়েছে ৬০০ বিমান। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে অধিকাংশ বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে বিমানযাত্রী। কেউ অফিসের কাজে, কেউ চিকিৎসার জন্য, ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করেই বিমান বাতিল হওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি বহু যাত্রী। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে শিডিউলে থাকা ৪৬৮টি বিমানের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯২টি বিমান, দেরিতে ওঠানামা করেছে ৩২০টি বিমান। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন কোনও আশ্বাসও দিতে পারছে না বিমানসংস্থা। ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপাতত আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার চেষ্টা হচ্ছে।
এসবের মধ্যে আবার আগামী দিনে আরও বিমান বাতিল হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠক করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। ডিজিসিএ, এয়ারপোর্ট আধিকারিক এবং বিমানসংস্থার কর্মীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি।