সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও রাশিয়া সন্ত্রাসের মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই প্রসঙ্গেই তাঁর মুখে উঠে এল পহেলগাঁও হামলার কথা।
এদিন হায়দরাবাদ হাউসে মোদিকে বলতে শোনা যায়, ”সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। সেটা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হোক বা ক্রোকাস সিটি হলে কাপুরুষোচিত হামলা, এই সমস্ত ঘটনার মূলে একই। ভারতের অটল বিশ্বাস যে সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধের উপর সরাসরি আক্রমণ। এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাষ্ট্রসংঘ, জি২০, ব্রিকস, এসসিও এবং অন্যান্য ফোরামে ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এই সমস্ত ফোরামে আমাদের আলোচনা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”
এদিকে শুক্রবার বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটা শান্তির যুগ। সাম্প্রতিক অতীতে শান্তি ফেরাতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। আমার বিশ্বাস গোটা বিশ্ব আবারও শান্তির পথে ফিরবে।” নেতা হিসাবেও পুতিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রকৃত বন্ধুর মতো ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন পুতিন। সমস্ত তথ্য জানিয়েছেন।” মোদির কথায়, আগামী দিনে বিশ্বে শান্তি ফিরবে বলে আশাবাদী তিনি, কারণ শান্তির মাধ্যমেই বিকাশ ঘটবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছয় পুতিনের বিমান। তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেবল তাই নয়, নিজের গাড়িতেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেন ৭ লোককল্যাণ মার্গের উদ্দেশে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে, বিশেষত অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পুতিনের প্রথমবারের ভারত সফর একাধিক কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর দু’দিনের সফর ঘিরে প্রত্যাশা রয়েছে।