• ১০০০ ফ্লাইট বাতিলে রেকর্ড IndiGo-র, দিনভর ভোগান্তি শেষে বিশেষ বার্তা CEO-র
    এই সময় | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • যাত্রী পরিষেবায় দেশের বৃহত্তম ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্স এখন বিপর্যয়ের মুখে। তিন দিন ধরে প্রায় ১০০০-এরও বেশি বিমান বাতিল। এয়ারপোর্টে আটকে পড়া যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র আরও সমীচীন। শুক্রবার সন্ধেয় জনসমক্ষে ভিডিয়ো মেসেজে ক্ষমা চাইলেন ইন্ডিগোর CEO পিটার এলবার্স। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা কমানোর চেষ্টা চলছে। তবে শনিবারও যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে না, তারই অশনি সঙ্কেত মিলল এলবার্সের কথায়।

    সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে এ দিন ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা পৌঁছয় হাজারে। এলবার্স ক্ষমা চেয়ে বলেন,‘এ দিন দৈনিক ফ্লাইটের অর্ধেকেরও বেশি বাতিল হয়েছে। তবে তাঁর আশা শনিবার পরিস্থিতি খানিক স্থিতিশীল হবে।’ একইসঙ্গে তাঁর মতে, সমস্যা মিটবে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ।

    এ দিন ইন্ডিগো CEO বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, গত কয়েক ধরে যা পদক্ষেপ করা হয়েছে তাতে সমাধান হয়নি। তাই আমরা আজ আমাদের সমস্ত সিস্টেম এবং সময়সূচি পুনরায় পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার ফলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তবে আগামিকাল ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ১,০০০ এর নিচে থাকবে। নির্দিষ্ট FDTL নিয়ে DGCA-এর সহায়তা এই সমস্যা সমাধানে অনেক সাহায্য করবে।’

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইমেলে এলবার্স জানিয়েছেন, একসঙ্গে অনেকগুলি ‘অপারেশনাল’ বা পরিচালনগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। এর মধ্যে প্রধান হলো— ১ নভেম্বর থেকে পাইলটদের জন্য কার্যকর হওয়া নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটের নিয়ম।

    এর প্রস্তুতির জন্য গত জুন মাস থেকে সময় ছিল। তার পরেও নতুন রোস্টারিং পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছে সংস্থাটি। এলবার্গের দাবি, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং এয়ার ট্রাফিক জ্যাম। যে কারণে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)