• মৃতের নামে কোটি টাকার জমি বিক্রির অভিযোগ
    এই সময় | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: মৃত্যুর ২৭ বছর পরে কী ভাবে একজন ব্যক্তি ৪৬ বিঘা জমি বিক্রির জন্য স্বাক্ষর করলেন। সালানপুর থানায় দায়ের হওয়া এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর এবং রেজিস্ট্রি দপ্তরের কিছু কর্মী ও দালালের মদতেই দীর্ঘদিন ধরে সালানপুর-কুলটি এলাকা জুড়ে চলেছে এমন জালিয়াতি। এ বার সামনে এসেছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার জমি বিক্রির এই ঘটনা।

    পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগকারী হরিশ শর্মার দাবি, সালানপুর ব্লকের আমঝরিয়া মৌজার প্রায় ৪৬ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি ডিড অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডের দেওঘর মধুপুরের বাসিন্দা হরিবল্লভ ভাদুড়ি ২০১১-র ২৪ মে আসানসোলের নাদিম ইকবাল ও আমির সিদ্দিকির কাছে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন। এর পরে সেই জমি আবার দু'টি আলাদা ডিডে ছ'জনের নামে ভাগ করে বিক্রি করা হয়- উজ্জ্বলকুমার সেন, তপন সেন, শেখ ইশতেহার (একাংশ) এবং সিন্টু মন্ডল, দীনেশ মণ্ডল, বিকাশ দত্ত (অন্য অংশ)। এই ছ'জনকেও জমি বিক্রি করেন হরিবল্লভ। কিন্তু জমির দখল নিতে গিয়ে ছ'জনই জানতে পারেন যে জমিটি আগেই অন্যের নামে বিক্রি হয়ে রয়েছে। ফলে তাঁরাও জমি পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন।

    ঘটনা নতুন মোড় নেয় ১৪ বছর পরে। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর নিজেকে ওই জমির আসল মালিক দাবি করে সালানপুর থানায় অভিযোগ (কেস নং ১৯৮/২৫) দায়ের করেন হরিশ শর্মা। তাঁর দাবি, জমিটির বৈধ মালিক হরিবল্লভের পুত্রবধূ গার্গী ভাদুড়ি। গার্গী পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছেন হরিশ শর্মা ও অনন্ত আর্যকে। অভিযোগে বলা হয়েছে, হরিবল্লভের মৃত্যু হয়েছে ১৯৮৪-র ১২ অক্টোবর। অথচ তাঁর নামেই ২০১১-য় জমি বিক্রি দেখানো হয়েছে।

    হরিশ জানান, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে সালানপুর বিএলএলআরও দপ্তরে খাজনা জমা দিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, জমিটি আগেই অন্যদের নামে রেজিস্ট্রি করা রয়েছে। এর পরেই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সালানপুর বিএলএলআরও দপ্তর জানিয়েছে, অভিযোগ নিয়ে থানায় ফৌজদারি মামলা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)