• পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রেল প্রকল্পের বাস্তবায়নে সংশয়, জমি জটের সাফাই কেন্দ্রের
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: দু’দিন আগেই রাজ্যের একাধিক মেট্রো প্রকল্প নিয়ে সংসদে প্রবল অনিশ্চয়তার বার্তা দিয়েছে রেল। এবার বাংলার একাধিক রেলপ্রকল্প নিয়েও সংশয় বাড়ল। এক্ষেত্রেও প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশয়ের কারণ হিসেবে সেই জমি জটকেই দায়ী করা হয়েছে। এবং একইভাবে যাবতীয় দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের উপর। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দাবি, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসাতেই তৃণমূল বিরোধী অস্ত্রে শান দিতে মরিয়া হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। 

    শুক্রবার রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, জমি জটের কারণে অত্যন্ত ধীর গতিতে এগোনো রাজ্যের রেল প্রকল্পের মধ্যে বেশ কিছু নতুন লাইন, রেল ওভার ব্রিজ তৈরির মতো প্রজেক্ট আছে। এদিন রাজ্যসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখিতভাবে জানিয়েছেন, বাংলায় সবমিলিয়ে যত রেল প্রকল্প চলছে, সেগুলির বাস্তবায়নে ৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে অধিগৃহীত হয়েছে মাত্র ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। অর্থাৎ, এখনও রাজ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশ জমি রেলের প্রয়োজন। জমি জটের কারণে বাংলায় যেসব রেল প্রকল্প একপ্রকার অনিশ্চিত, তার অন্যতম কয়েকটি হল নবদ্বীপঘাট-নবদ্বীপধাম নয়া রেললাইন, নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইন, কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর নয়া রেললাইন, চন্দনপুর-শক্তিগড় ফোর্থ লাইন, গৌরীনাথধামে রেল ফ্লাইওভারের মতো একাধিক প্রকল্প। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেবক-রংপো নিউ লাইনের ক্ষেত্রে প্রায় ১৩৫ হেক্টর জমির প্রয়োজন ছিল। একমাত্র এই প্রকল্পেই প্রায় ১২৭ হেক্টর জমি অধিগৃহীত হয়ে গিয়েছে। বাকি জমি পাওয়া গেলে কাজ আরও দ্রুত হবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য রেল প্রকল্পগুলিতে জমি অধিগ্রহণই হয়নি। 

    রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর নয়া রেললাইন প্রকল্পের কাজ আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যায় বন্ধ হয়ে আছে ২০১৬ সাল থেকে।  দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম অংশের কাজও স্থগিত হয়ে রয়েছে প্রধানত জমি জট এবং আইনশৃঙ্খলার কারণে। ঘটনাচক্রে এদিনই রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ বরাইক বলেন, রেলের প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্যের সঙ্গে কার্যত বৈষম্যমূলক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে রেল প্রকল্পের কাজে ইতিমধ্যেই ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও রেল কাজই শুরু করেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)