• ইন্ডিগোর বিড়ম্বনা, বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছোতে পারলেন না বর-কনেই
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • বেঙ্গালুরু: এই তো হয়েছে। দেখো তো...। দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। বেশ কিছুক্ষণ গিন্নির চোখ রাঙানি আর বকুনি সহ্য করে শাড়ির কুঁচি ধরার চেষ্টায় কত্তামশাই। বরাতজোরে সময়মতো বিয়েবাড়িতে পৌঁছেও গেলেন। বিরাট আয়োজন। চারদিকে আলো, ফুল, খাবার। মূলমঞ্চের সামনে রাখা চেয়ারে বসে পড়েছেন আত্মীয়-স্বজন। কিন্তু নববিবাহিত দম্পতি কোথায়? গুঞ্জন শুরু হতেই মঞ্চের কোণে রাখা স্ক্রিনের আলো জ্বলে উঠল। বর-বউ বলে উঠলেন, খুব খারাপ লাগছে। আপনারা এসেছেন আর আমরা পৌঁছোতেই পারলাম না। আপনারা সবাই খেয়ে সময়মতো বাড়ি ফিরবেন কিন্তু। দেশজুড়ে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবায় সমস্যার জেরে এবার নিজেদের বিয়ের রিসেপশনেই পৌঁছতে পারলেন না নব বর-বধূ। অগত্যা ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে সারলেন বিয়ের অনুষ্ঠান। কর্ণাটকের হুবলির ঘটনা।

    পাত্রী হুবলি মেধা ক্ষীরসাগর। পাত্র ভুবনেশ্বরের সঙ্গম দাস। দু’জনেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বেঙ্গালুরুর এক সংস্থায় কাজ করেন। গত ২৩ নভেম্বর ভুবনেশ্বরে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর ৩ ডিসেম্বর, বুধবার কর্ণাটকে মেধার শহরে একটি রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেইমতো ভুবনেশ্বর থেকে বেঙ্গালুরু হয়ে হুবলিতে যাওয়ার টিকিট কাটেন বর-কনে। ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবারের টিকিট ছিল। কিন্তু ইন্ডিগোর বিমান বিভ্রাটের জেরে সমস্যায় পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাতিল হয়ে যায় তাঁদের বিমান। আর কোনও উপায় না পেয়ে শেষমেশ ভার্চুয়ালি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তাঁরা। 

    হরিদ্বারের গঙ্গায় বাবার অস্থি বিসর্জন দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নমিতা। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি হয়ে দেরাদুন, তারপর হরিদ্বার যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। হাতে বাবার চিতা-ভস্ম। নমিতার কাতর আবেদন, দয়া করে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। বিপাকে পড়েছেন ভারতে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার সাইমন ওয়াংও। ঝাড়খণ্ডে এক সহকর্মীর বিয়েতে পৌঁছোতে পারলেন না তিনি।
  • Link to this news (বর্তমান)