শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে জমির ব্যবহার নিয়ে ‘কন্ট্রোল প্ল্যান’ বানাবে এসজেডিএ
বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: এবার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে জমির ব্যবহার নিয়ে তৈরি করা হবে ‘কন্ট্রোল প্ল্যান’। শীঘ্রই খড়্গপুর আইআইটি এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে। শুক্রবার বণিক সংগঠনের সঙ্গে ত্রৈমাসিক বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান দিলীপ দুগার। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দু’বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়িতে হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে কিছু সংস্থা এখানে কাজও শুরু করেছে।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য রিচা ঘোষের নামে শিলিগুড়িতে স্টেডিয়াম তৈরির করবে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে এখানে মহাকাল মন্দির ও কনভেনশন সেন্টার করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হওয়ার পর এই শহরের চেহারা পাল্টে যাবে বলে দাবি করেন এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে চিঠি পাঠাবে বণিক সংগঠনগুলি। এদিনের বৈঠকে তারা বিষয়টি জানিয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। তাই উত্তরবঙ্গের এই ‘যমজ’ শহর দু’টির জমির ব্যবহার নিয়ে কন্ট্রোল প্ল্যান তৈরি করার দাবি বহুদিনের। এদিন এসজেডিএ’র বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বণিক সংগঠনগুলি সরব হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে আইসিসি, ক্রেডাই, সিআইআই, উত্তরবঙ্গ টি পার্ক, উত্তরবঙ্গ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।
পরে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে ল্যান্ড ইউস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল প্ল্যান (এলইউডিসিপি) তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই খড়্গপুর আইআইটি’কে সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এতে সংশ্লিষ্ট দুই শহরে বাসস্থান, বাণিজ্য ও শিল্পের এলাকা চিহ্নিত করা হবে। কাজেই সেই প্ল্যান ধরে পরবর্তীতে উন্নয়ন করতে ব্যাপক সুবিধা হবে।
এরবাইরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জেলায় জেলায় ক্ষুদ্রশিল্প নিয়ে সভা করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতেও একটি সভা হয়েছে। এই শহরে হোটেল ব্যবসায় দু’বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। এবছর বিনিয়োগ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে দেশের বেশকিছু বড় সংস্থা এখানে হোটেল তৈরির কাজ শুরু করেছে। আগামী বছর হোটেল ব্যবসায় আরও ৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। এছাড়া রাজ্য সরকার অনুমোদিত বেসরকারি শিল্পতালুক এবং সরকারি শিল্পতালুক হচ্ছে। প্রকল্পগুলি বাস্তাবায়িত হওয়ার পর প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে।