• দেগঙ্গায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে শাসানি তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিয়োয় বিতর্ক
    বর্তমান | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: স্কুলের অফিসে বসেই প্রধান শিক্ষককে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা তথা সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষক নেতা মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের এই কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে দেগঙ্গায়। যদিও ‘বর্তমান’ ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। 

    ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চ্যাংদানা কাদারিয়া হাই মাদ্রাসায়। জানা গিয়েছে, হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ফিরোজুর রহমানের সঙ্গে ওই সহ শিক্ষকের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক আবার মাদ্রাসার স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক। তিনি আবার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। এক সময় তিনি পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। স্বভাবতই এলাকায় দাপট রয়েছে তাঁর। 

    প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল সহ একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন আব্দুর। মাদ্রাসার অফিসে বসেই তিনি বেনজিরভাবে প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তিনি আঙুল তুলে হম্বিতম্বি করছেন। শুধু তাই নয়, হাজিরার খাতা থেকে নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের এই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। 

    ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ১০ ফুট দূরত্বে দুই টেবিলে বসে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও ওই সহ শিক্ষক। আব্দুর রাজ্জাক সেখানে বসেই প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশে বলছেন, আমাদের সঙ্গে টক্কর নেবেন না। টক্কর দিলে আপনারই ক্ষতি হবে। পালটা প্রধান শিক্ষক ফিরোজুর রহমান বলছেন, আপনার যদি কিছু বলার থাকে লিখিত জানান। হাজিরা খাতা ধরার এক্তিয়ার আপনার নেই।

    এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ফুটেজের ঘটনাটি সত্যি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও শিক্ষকনেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলে অনিয়মিত আসেন, আবার ছুটির আগেই চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে মিড ডে মিল সহ স্কুলের নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ এনামুল হক বলেন, শিক্ষাঙ্গনে এই ধরনের আচরণ সমর্থন করি না। দ্রুত দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সমাধান করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)