সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের হাত থেকে আর যেন নিস্তার নেই দিল্লির। শুক্রবারের থেকেও শনিবার সকালে দূষণের মাত্রা আরও বেশি। ভোর থেকেই রাজধানীর শরীর জুড়ে কুয়াশার কম্বল! সামান্য দূরের জিনিসও চোখে পড়ছে না। এদিনের দূষণের মাত্রা তথা গড় একিইউআই ৩৩৩। অর্থাৎ ‘অতি খারাপ’। এদিকে তাপমাত্রাও কমেছে লাফিয়ে। গতকাল, শুক্রবার ছিল ডিসেম্বরের সবচেয়ে শীতল দিন। পারদ ছিল ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিন দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি চড়া রয়েছে মুন্দকায়। সিপিসিবির দেওয়া তথ্যানুসারে সকাল ৭টায় এই অঞ্চলের একিইউআই ছিল ৩৮১। দূষণের মাত্রায় ‘অতি খারাপ’-এর তালিকায় রয়েছে আরকে পুরম (৩৬৪), পাঞ্জাবি বাগ (৩৪৮), চাঁদনি চক (৩৪৮), রোহিণী (৩৭৪), বিবেক বিহার (৩০৯), বাওয়ানা (৩৭৫), সিরি ফোর্ট (৩৪৩), ওয়াজিরপুর (৩৫৯), আনন্দ বিহার (৩৬৬), অশোক বিহার (৩৪৮) ও সোনিয়া বিহার (৩৫২)। তুলনামূলক ভাবে ভালো পরিস্থিতি দ্বারকা (২৬০), মন্দির মার্গ (২৫৬), আয়া নগর (২৮৯), আইজিআই বিমানবন্দরের (২৬৩)।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়!
এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না। মাঝে দূষণের মাত্রা ছিল ‘খারাপ’ পর্যায়ে। ভূমির কাছাকাছি বায়ুর বেগ বেশি থাকার ফলেই পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু এবার ফের বাড়তে শুরু করেছে দূষণের মাত্রা।