ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) গণনাপত্র তাঁরা বুথ লেভেল অফিসারের (বিএলও) কাছে জমা দেননি। অনলাইনেও পূরণ করেননি। কিন্তু তাঁদের ফর্ম অনলাইনে জমা পড়ে গিয়েছে, অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের এক পরিবারের পাঁচ জনের। ঘটনায় ধন্দে প্রশাসনও।
মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘কী ভাবে এটা হল, প্রশ্ন রয়েছে। যদি কেউ ওই ভোটারদের অজ্ঞাতসারে ফর্ম জমা দিয়েও থাকেন, তবু তাঁরা বিএলও-কে যে ফর্ম জমা দেবেন, সেটিই আপলোড হবে। ওঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে, আমরা তা করতে তৈরি।’’
পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের ৪৭ নম্বর বুথের বাসিন্দা বিনোদ সাউ জানান, ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর তাঁরা কলকাতায় ছিলেন। এর মধ্যে বিএলও পাপিয়া মণ্ডল ফোন করে ফর্ম জমা দেওয়ার কথা বলায়, তাঁরা তা অনলাইনে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিনোদের দাবি, ২ ডিসেম্বর অনলাইনে গণনাপত্র পূরণের চেষ্টা করে দেখেন, তাঁর, তাঁর স্ত্রী, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাইপোর ফর্ম অনলাইনে জমা পড়েছে। বিএলও তাঁদের জানান, এ বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। ৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ‘এইআরও’ (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) তাঁকে ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিনোদের দাবি, ‘‘তাঁর কাছে জানতে চাই, কী ভাবে এমন হল! সদুত্তর না পেয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্লক প্রশাসন, নানা স্তরে ই-মেলে অভিযোগ জানাই।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, অনলাইনে গণনাপত্র পূরণ করতে ভোটারের এপিক নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বরে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) আসার কথা। যদি আগে থেকে ফোন নম্বর সংযুক্ত না থাকে, তবে তা করে নিতে হবে। সে প্রক্রিয়ায়, সংশ্লিষ্ট ভোটারের আধার নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বরে ‘ওটিপি’ আসার কথা। বিনোদের দাবি, তাঁদের ফোনে ‘ওটিপি’ আসেনি। পাণ্ডবেশ্বরের ‘ইআরও’ (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) রঞ্জনা রায়ের বক্তব্য, ‘‘ঠিক কী হয়েছে, জানা নেই। তবে অভিযোগকারী আংশিক সত্য বলছেন বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম পূরণ করে বিএলও-কে দিতে বলা হয়েছে।’’