• হাতে সময় দু’বছর, বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে কড়া রাজ্য
    আনন্দবাজার | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বছরের পর বছর জমে থাকা স্তূপীকৃত বর্জ্য (লেগ্যাসি ওয়েস্ট) সরাতে এ বার দৃশ্যত কড়া অবস্থান নিল রাজ্য। প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বায়ো-মাইনিং এবং বায়ো-রেমিডিয়েশনের মাধ্যমে স্তূপীকৃত বর্জ্য অপসারণের জন্য তিন ভাগে কাজ এগোবে। জমে থাকা স্তূপীকৃত বর্জ্য সরানো ও জমি উদ্ধারের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর।

    প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতি সপ্তাহে এবং ১৫ দিন অন্তর পর্যালোচনা বৈঠক ও মাসে এক বার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কাজের গতি খতিয়ে দেখা হবে। সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হলে জরিমানা চাপবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সেপটিক ট্যাঙ্কের মল-বর্জ্য যাতে রাস্তায় বা খালের বদলে নিকাশি শোধনাগারে পৌঁছয়— সেই ব্যবস্থাও কঠোর করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ভাগাড় লাগোয়া ৬০টি পরিবারকে নতুন বাড়ি দেওয়ার কাজেও তাড়া দিয়েছে সরকার। জেলা প্রশাসনকে পুনর্বাসন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়মিত খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে জানিয়েছে, বেলগাছিয়া ভাগাড়ের সামগ্রিক প্রকল্পে কয়েকশো কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পৃথকীকৃত বর্জ্য অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা চালু থাকবে।

    ভাগাড় নিয়ে মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের অবশ্য বক্তব্য, “জাতীয় পরিবেশ আদালতের ধমকের পরেই রাজ্য নড়ে বসেছে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ভাল। তবে আগে দেখা যাক, বাস্তবে আদৌ কতটা কাজ হয়!”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)