• সংসদ চত্বরে বিক্ষোভে তৃণমূল
    আনন্দবাজার | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • কেন্দ্রীয় প্রকল্প ১০০ দিনের কাজের পাওনা টাকা নিয়ে আজ সুর আরও চড়ালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য থেকে আনা তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের দাবি ৪৩ হাজার কোটি নয়, কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা। আজ সকালে সংসদের মকরদ্বারের সামনে একযোগে তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদেরা বিক্ষোভ দেখান। হাতে ছিল ‘৫২০০০’ লেখা পোস্টার। স্লোগান, ‘বাংলার প্রাপ্য বকেয়া মেটানো হচ্ছে না কেন? জবাব চাই, জবাব দাও’।

    রাজ্যসভায় গত কাল ‘মনরেগা’ প্রকল্প নিয়ে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাকে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়ম মেনে মনরেগা প্রকল্পের কাজ করেনি৷’’ কী ভাবে রাজ্যে অনিয়ম হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নির্মলার বক্তব্য, কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে কাজ না-করার জন্য ২০২২ সাল থেকে বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে৷ রাজ্যসভায় তৃণমূলের উপনেতা সাগরিকা ঘোষ আজ একটি চিঠি দিয়েছেন চেয়ারম্যানকে। তাতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন। তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ মুছে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সাগরিকা ওই চিঠিতে। পাশাপাশি, দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে লিখিত প্রশ্ন করেছেন মনরেগা নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন, ‘২০২৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গে মনরেগার কাজ শুরু করতে বলেছিল কিনা? যদি বলে থাকে, সরকার বকেয়া টাকা ছাড়ার প্রশ্নে কী পদক্ষেপ করেছে’?

    অন্য দিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে আজ অর্থ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, সংসদে দাঁড়িয়ে নির্মলা যা বলেছেন, তা নির্ভুল। অনিয়মের জন্যই রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়ম আরও কঠোর করে কী ভাবে তা ফের চালু করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গকে কখনই মোদী সরকার বঞ্চনা করেনি, বরং তৃণমূলের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক বৃদ্ধি আটকে রয়েছে। গত কাল সংসদে অর্থমন্ত্রী যা বলেছিলেন তা সরকারি তথ্য পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।

    পাশাপাশি, লোকসভায় আজ তৃণমূলের উপনেতা শতাব্দী রায় প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি বাংলা বললে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়, তা হলে হিন্দি বা উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠানো হবে না কেন?” বার বার শতাব্দীকে বক্তব্য পেশে স্পিকার বাধা দেন বলে অভিযোগ। ওঠে স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)