অযোধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত স্থানে কবে ‘বাবরি’ মসজিদ? নতুন ডেডলাইন দিল ট্রাস্ট
প্রতিদিন | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্যায় মসজিদের জন্য প্রাপ্ত বিকল্প জমিতে মসজিদের পাশাপাশি তৈরি করা হবে হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন এবং একটি লাইব্রেরি। এমনটাই জানিয়েছে মসজিদ তৈরির জন্য গঠিত ট্রাস্ট ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। তবে ওই মসজিদ তৈরি নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় সুবিশাল রাম মন্দির তৈরির কাজ শেষ। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই হবে। সেই ঐতিহাসিক রায় মেনে গত বছর ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের উদ্বোধন করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই রাম মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুর গ্রামে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সামনে এসেছে মসজিদ ও হাসপাতালের নকশাও। কিন্তু প্রায় ৬ বছর পেরোনোর পরও মসজিদের একটা ইটও গাঁথা হয়নি।
মসজিদ তৈরির জন্য গঠিত ট্রাস্ট ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জুফার আহমেদ ফারুকি বলছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মসজিদ তৈরি হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তৈরি হবে হাসপাতাল, কমিউনিটি কিচেন এবং একটি লাইব্রেরি। কিন্তু মসজিদ তৈরির কাজে এত বিলম্ব কেন? ফারুকি বলছেন, মসজিদের জন্য প্রাথমিকভাবে যে নকশা তৈরি করা হয়েছিল, সেই নকশা বাতিল করে দিয়েছে অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ। যদিও ট্রাস্টও ওই নকশা নিয়ে এগোতে চাইছিল না। ডিসেম্বরের শেষেই নতুন নকশা অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদের কাছে পাঠানো হবে। সেই নকশায় সায় পেলেই মসজিদের কাজ শুরু হবে। ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে মসজিদ তৈরি হয়ে যাবে।
এতদিন ধরে যে মসজিদের কাজ একটুও এগোয়নি, সেটা মাত্র কয়েকমাসে তৈরি হওয়া সম্ভব? সংশয় রয়েছে ফারুকির মনেও। তিনি বলছেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটা সমস্যা ছিল। সুপ্রিম কোর্টে যে পাঁচ একর জমি দিয়েছে, সেটার বাইরেও মসজিদের জন্য আরও জমি দরকার। সেই জমি যদি অধিগ্রহণ করা যায়, তাহলে ওখানেই মসজিদ হবে। নাহলে আমরা ধাপে ধাপে সেই মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাব। সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।