• ধর্ম যেন রাজনীতির হাতিয়ার না হয়, মত নওশাদের
    আজকাল | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি: ধর্ম কখনওই রাজনীতির অস্ত্র হতে পারে না। এই প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত এবং পীরজাদা উভয়ই। শনিবার হুগলির শ্রীরামপুর মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী বলেছেন, “আমরা চৈতন্য মহাপ্রভুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। মহাপ্রভু যখন হরিনাম সংকীর্তনে বেরিয়েছেন, তখন তিনি কখনও দেখেননি কে চণ্ডাল, কে বৈশ্য, কে ক্ষত্রিয় বা কে ব্রাহ্মণ। সকলকে তিনি সমানভাবে আলিঙ্গন করেছিলেন।'

    তিনি আরও বলেন, 'হরিনামের আহ্বানে এই আদর্শই আমাদের পথপ্রদর্শক। মন্দিরে যখন আমরা বিশ্ব শান্তির যজ্ঞ করি, সেখানে কারা আহুতি দিচ্ছেন, সেটা দেখা হয় না। ধর্ম দেখে কাউকে আলাদা করা হয় না। জাত বা শ্রেণির পরিচয়ে কাউকে কখনও বাদ দেওয়া হয়নি। আমরা সনাতনী হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। কিন্তু পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও সমান শ্রদ্ধাশীল। নিজের ধর্মকে ভালবাসার পাশাপাশি অন্য ধর্মকেও সম্মান করা আমাদের লক্ষ্য।' 

    এই প্রসঙ্গে একই মত প্রকাশ করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন, 'জানি‌ না এরপর আগামী দিনে বাংলায় কী আসতে চলেছে। বাবরি সমস্ত মুসলিমদের ভাবাবেগ। আমারও ভাবাবেগ। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেখানে স্পষ্ট বলেছিল মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে, এরকম কোনও প্রমাণ নেই। একটা আস্থার উপরে সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগের কথা চিন্তা করে রায় দিয়েছে। একটা ভাবাবেগ আছে, সেটাকে কে কেমন ভাবে কাজে লাগাবে। কেউ ধিক্কার দিবসের নামে, কেউ আবার নতুন একটা মসজিদ নির্মাণের নামে এই ভাবাবেগকে কাজে লাগাচ্ছে। ভাবাবেগ নিয়ে যেন অশান্তি না হয়। সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, অন্যের ক্ষতি না হয় সেটা দেখতে হবে।' 
  • Link to this news (আজকাল)