পার্থ চৌধুরী: রক্ষকই ভক্ষক! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের এবার পুলিসের জালে সিভিক! ধৃতকে চারদিনের পুলিসি হেজাতের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম আজাহার হোসেন। বাড়ি, পূর্ব বর্ধমানেরই কেতুগ্রামে। গত ১৪ অক্টোবর মেল করে আজহারের বিরুদ্ধে জেলা পুলিসের অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তিনি পশ্চিম বর্ধমানের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মী। ওই মহিলার দাবি, ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। নিজেকে রাজ্য পুলিশের 'স্পেশাল কনস্টেবল' পরিচয় দিয়েছিলেন ওই যুবক। বলেছিলেন, বাড়ি কলকাতায়।
স্রেফ নিজের পরিচয় ও পেশা গোপন রাখাই নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার শারীরিক সম্পর্কও তৈরি করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া যেসব মোবাইল থানায় রাখা থাকত, সেই মোবাইল ব্যবহার করেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন অভিযুক্ত। ঘুরে বেড়াতে বাজেয়াপ্ত হওয়া বাইকেও। শুধু তাই নয়, পুলিস পোর্টালে মাধ্যমে মোবাইল ট্র্যাক করে নাকি নজরদারি চালাত অভিযোগকারী মহিলার উপরও! নানাভাবে হুমকি দিত। গতকাল, শুক্রবার জেলা পুলিসের পরামর্শে বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েক করেন অভিযোগকারী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা অভিযুক্ত আজাহার হোসেনকে।