• শীতলকুচি ব্লকের দুর্বল ৩টি সেতু নিয়ে উদ্বেগে বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শীতলকুচি: শীতলকুচি ব্লকের তিনটি সেতু নিয়ে উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। সেতুর লোহার পিলারগুলি মরচে ধরে ক্ষয়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আক্রারহাট বাজার সংলগ্ন বুড়া ধরলা নদীর শোভাগঞ্জ সেতু, ভাঐরথানা-পঞ্চারহাট সড়কে বোচারঘাট সেতু ও ছোট শালবাড়ি ফক্কোরেরহাট সড়কে দেওশাল সেতু বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সেতুগুলির উপর যানবাহন চলাচল করলে সেতু কেঁপে ওঠে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারী যানবাহন চলাচল রুখতে গত বছর ব্লক প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেতুর দুইদিকে লোহার কাঠামো বসানো হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কেউ সেগুলি ভেঙে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভারী যানবাহন চলাচল করলে সেতু ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। 

    উল্লেখ্য, এই তিনটি সেতু প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ হয়েছিল। প্রশাসনের নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেতু সংস্কারের বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আক্রারহাট সংলগ্ন সেতুটি দিয়ে আক্রারহাট, নগর শোভাগঞ্জ সহ বেশকিছু গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা যাতায়াত করেন। বোচারঘাট এলাকার এই সেতু ভাঐরথানা, নিউ ভাঐরথানা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন ব্যবহার করেন। 

    ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বিজয় বর্মন বলেন, আক্রারহাট বাজার সংলগ্ন শোভাগঞ্জ সেতুর লোহার পিলারে মরচে ধরেছে। প্রশাসনের লাগানো লোহার একদিকের দুইটি ও অপরদিকে একটি লোহার কাঠামো কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারী যানবাহন চলাচলে যেকোনও সময় সেতু ভেঙে বিপদ ঘটতে পারে। তাই দ্রুত সেতু সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। 

    এ বিষয়ে শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন জানান, সেতুগুলি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা বোর্ড লাগানো হয়েছিল। কীভাবে সেগুলি ভাঙল সেইবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)