• শেষ হল মহোত্সব, মাধাইপুরে পর্যটনকেন্দ্র না হওয়ায় আক্ষেপ
    বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: রূপ এবং সনাতন গোস্বামীর স্মৃতি বিজড়িত মাধাইপুরে পর্যটন কেন্দ্র না হওয়ায় বাড়ছে আক্ষেপ। ৫২০ বছর আগে গৌড়ের রাজা ছিলেন হোসেন শাহ। তাঁর সময়কালে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন দুই মহাবৈষ্ণব রূপ এবং সনাতন গোস্বামী। তাঁদের দীক্ষা দিতেই স্বয়ং শ্রীচৈতন্য রামকেলিতে এসেছিলেন। রূপ এবং সনাতন গোস্বামীর মামার বাড়ি ছিল রামকেলি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পুরাতন মালদহ ব্লকের মাধাইপুর মোড় গ্রামে। সংশ্লিষ্ট গ্রামে দু’ভাই থাকতেন। তাঁরা অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল গৌড়জুড়ে। সেজন্য হোসেন শাহের নির্দেশে রাজকর্মচারীরা মাধাইপুর গ্রাম থেকে রূপ এবং সনাতন গোস্বামীকে মন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যান বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অতীতে রামকেলি গ্রামকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। তবে, আজও দুই গোস্বামীর স্মৃতি বিজড়িত মাধাইপুর গ্রাম পর্যটনের আওতায় আসেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। শনিবার রূপ সনাতন সংঘ এবং কমিটির বাৎসরিক লোক সংস্কৃতি মহোৎসবে এসে আক্ষেপের সুরে এমনটাই জানালেন পুণ্যার্থী তুষার গুপ্ত, বচ্চন শীলরা। তাঁদের দাবি, শুনেছিলাম এই গ্রাম পর্যটনের আওতায় আসবে। রামকেলির মতো মহাপ্রভুর মূর্তি, তোরণ, পেভার ব্লক বসিয়ে করা হবে বিপুল সৌন্দর্যায়ন। পর্যটকদের স্থানের মাহাত্ম্য বুঝতে সুবিধা হবে বলে ফলকে লেখা থাকবে ইতিহাস। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের কোনও উদ্যোগ নেই। শনিবার পাঁচদিনের উৎসব শেষ হয়। শেষ দিনে ৬৪ মহন্তের ভোগ হয়েছে। রূপ এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিগ্রহ দেখতে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। রূপ সনাতন সেবাশ্রমের সম্পাদক দিবাকর ঘোষ, সদস্য অজিত এবং নারায়ণ ঘোষেরা বলেন, গ্রামের ইতিহাস সকলেই জানেন। সেজন্য শেষদিন উৎসবে অগণিত মানুষ আসায় আমরা আপ্লুত। কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৯টি লোকসংস্কৃতির দল এসেছিল। বিভিন্ন মহলে জানালেও পর্যটন কেন্দ্র করতে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি।সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লাল বাহাদুর ঘোষ বলেন,  আমাদের কাছে এলে আলোচনা করে দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)