মানকর-গুসকরা রাস্তাজুড়ে শুকানো হচ্ছে ধান, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বর্তমান | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, মানকর: মানকর থেকে গুসকরা যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর ধান শুকানো হচ্ছে। রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশজুড়ে ছড়ানো রয়েছে ধান। যাতায়াতের জন্য ছাড়া হয়েছে সামান্য অংশ। ধানের উপর দিয়ে যাতে গাড়ি যেতে না পারে, সেজন্য রাস্তার মাঝেই রাখা হয়েছে মোটা কাঠ। ফলে ভুল করেও গাড়ির চাকা সেদিকে বাঁক নিলেই ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। ছোটখাট দুর্ঘটনা তো লেগেই থাকছে। ধান কাটার মরশুম শুরু হতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন গাড়ি চালক থেকে পথচারীরা। তাই অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেরও দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পথচারীদের বক্তব্য, ধান মেলার পরে অনেকেই দু’প্রান্তে মোটা কাঠ রেখে দিচ্ছেন। যাতে কোনওভাবেই গাড়ি ধানের উপর না উঠে পড়ে। ফলে চওড়া রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বাইক আরোহী বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, কাজের জন্য মানকর যাচ্ছিলাম। আউশগ্রামের আনন্দবাজারের কাছে মাঝিপাড়ায় রাস্তার অর্ধেক জুড়ে ধান মেলা হয়েছে। গোন্নার কাছেও একই অবস্থা। সরকারি নিয়ম অমান্য করে রাস্তার উপরে এভাবে ধান শুকানো হচ্ছে। শুধু তাই নয় বড় কাঠও রেখে দেওয়া হচ্ছে। মানকরগামী এক লরি চালক বলেন, ধান রেখে রাস্তার একদিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ির চালকরা সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় দ্রুতগতিতে আসা বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিকের রাস্তায় চলে আসছেন। সাইকেল আরোহী দিব্যেন্দু পাল বলেন, অভিরামপুরে সাইকেল নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তায় ধান মেলা রয়েছে। বড় গাড়িগুলি একদম সাইকেল আরোহীদের গা ঘেঁষে যাচ্ছে। প্রশাসন নজর না দিলে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয়দের একাংশ জানান, গতবছর অমরারগড় থেকে জামতাড়া পর্যন্ত বেশকিছু জায়গায় ব্যাপকভাবে রাস্তার উপর ধান মেলা হয়েছিল। এবারেও বেশ কিছু জায়গায় পিচের উপর রীতিমতো গোবর লেপে পরিষ্কার করে তার উপর ধান মেলা হচ্ছে। পথচারীরা বলছেন, রাস্তা গাড়ি ও মানুষ চলাচলের জন্য, না ধান মেলার জন্য তা বোঝা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? সে প্রশ্ন তুলছেন পথচারীরা।
এক চাষি জানান, বাড়িতে জায়গা নেই বলে রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য ধান মেলা হচ্ছে। পিচের গরমে ধান তাড়াতাড়ি শুকায়। সমস্যা হলে সরিয়ে নেওয়া হয়। আউশগ্রাম-২ ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, বিষয়টি দেখা হবে। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।