সংবাদদাতা, মানকর: বর্ধমান-আসানসোল লাইনে খানা জংশনে প্রযুক্তির উন্নতি সহ একাধিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। আর তার জেরেই এই রুটে একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। ফলে শনিবার ভোগান্তির মুখে পড়তে হল যাত্রীদের। যাত্রীরা এদিন বাসের উপর ভরসা রেখে গন্তব্যে রওনা হন। রেলের তরফে অবশ্য ট্রেন বাতিলের কথা আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদ প্রকাশ বলেন, আধুনিকীকরণের জন্যই একাজ হচ্ছে। এতে ট্রেনযাত্রা আরও মসৃণ হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খানা জংশনে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। সেজন্য বেশকিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে। শনিবার একাধিক ট্রেন বাতিল থাকায় অনেকেই সমস্যায় পড়েন। এদিন বর্ধমান থেকে ভোর ৫টা ৫এর ৬৩৫০৭ আসানসোল লোকাল, ৬টা ৩০মিনিটের ১৩৫০৩ বর্ধমান-হাতিয়া মেমু এক্সপ্রেস বাতিল ছিল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের ৬৩৫০৯ বর্ধমান-ঝাঝা লোকাল ট্রেনটিও বর্ধমান থেকে বাতিল ছিল। এটি আসানসোল থেকে গন্তব্যে রওনা দেয়। বর্ধমান থেকে আসানসোলগামী সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের ৬৩৫১৩, সাড়ে বারোটার ৬৩৫৪৯, দুপুর ১টার ৬৩৫১৭ সহ বিকেলের দিকেও একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল ছিল। ফলে এদিন বর্ধমান থেকে আসানসোল লাইনে আসতে গিয়ে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। আসানসোল থেকে বর্ধমান যাওয়ারও একাধিক ট্রেনও বাতিল থাকায় বর্ধমান যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
মানকরের বাসিন্দা বিশ্বরূপ গোস্বামীর অভিযোগ, একাধিক ট্রেন বাতিল থাকায় নিত্যযাত্রীদের সবার অসুবিধা হচ্ছে। যে ক’টি হাতে গোনা ট্রেন চলছে তাও সময়ে আসছে না। এদিন ৬৩৫১৪ বর্ধমানগামী লোকাল ট্রেনটি মানকরে সকালে নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিট দেরিতে আসে। এই ট্রেনের উপর অফিসযাত্রীরা অনেকটাই নির্ভরশীল। অভিযোগ, পারাজে এবং গলসিতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। পরে প্রায় নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে বর্ধমানে পৌঁছায় ওই ট্রেনটি।
রাজবাঁধে বেসরকারি কারখানায় কর্মরত দেবদূত বাগের অভিযোগ, একাধিক লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। ট্রেনে মান্থলি কাটা রয়েছে। তারপরও বাসে ভাড়া দিয়ে অফিস যেতে হচ্ছে। নভেম্বর মাসে রেলের কাজ শুরু হয়েছে। একাধিকবার ব্লক নেওয়া হল। এরপরেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। দ্রুত কাজ শেষ হলে সবার সুবিধা হবে। এদিন গলসি, মানকর, রাজবাঁধ এলাকায় বহু মানুষকে দেখা গিয়েছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস ধরে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কবে রেলের কাজ শেষ হবে, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে যাত্রীরা। -নিজস্ব চিত্র