সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: শনিবার দুপুরে জয়পুরের গড়গ্রামে প্রতিবেশীর নির্মীয়মাণ বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম রোহন লোহার। তার বাড়ি রাউতখণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের গড় গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী এক ব্যক্তির নির্মীয়মাণ বাড়ির ইটের দেওয়ালের উপর কাঁথা মেলেছিলেন রোহনের মা রচনা লোহার। এদিন দুপুরে তা তোলার সময় কাঁথায় টান দিতেই দেওয়ালটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। রোহন তাতে চাপা পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। শিশুটির মা-বাবা ও পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড় গ্রামের বাসিন্দা ঝন্টু লোহারের বাড়ির কাছেই অন্য এক ব্যক্তি পাকা বাড়ি তৈরি করছিলেন। ইতিমধ্যেই লিনটেলের আগে পর্যন্ত ইটের গাঁথা হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এদিন ঝন্টুবাবুর স্ত্রী রচনাদেবী ওই দেওয়ালে কাঁথা শুকাতে দিয়েছিলেন। দুপুরে তা তুলতে যান। সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সন্তান রোহনও যায়। কিছুটা উঁচুতে থাকায় রচনাদেবী কাঁথাটি টেনে দেওয়াল থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। তখনই আচমকা ইটের দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। তাতে রোহন চাপা পড়ে যায়। চিৎকার শুনে বাড়ির অন্যান্যরা এবং প্রতিবেশীরা আসেন। দেওয়াল সরিয়ে রোহনকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জয়পুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি।
এদিন গড় গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, পেশায় দিনমজুর ঝন্টু লোহারের বাড়িতে গ্রামবাসীদের ভিড় রয়েছে। বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করছেন। নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িটির দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে। ওই দেওয়াল চাপা পড়েই ঝন্টুবাবুর তিন বছরের সন্তান রোহনের প্রাণ গিয়েছে।
রচনাদেবী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, দেওয়ালে শুকাতে দেওয়া কাঁথা তুলতে গিয়েছিলাম। আমার ছেলে দেওয়ালের কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। আমি কাঁথা টানতেই দেওয়ালের কিছুটা অংশ ভেঙে ছেলের গায়ে পড়ে যায়। একবার চিৎকার করেই ও চুপ হয়ে যায়।